1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালির ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকার্য অব্যাহত

সঞ্জীব বর্মন৭ এপ্রিল ২০০৯

সোমবার ইটালির আবরুৎসো অঞ্চলে লাকিলা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মৃতের সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে৷ ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য সারারাত ধরে উদ্ধারকার্য চলেছে৷

https://p.dw.com/p/HRcz
উদ্ধারকার্য চলেছেছবি: AP

মোট ২৬টি জনপদে এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানা গেছে৷ সরকারী সূত্র অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১৫০রও বেশী – তবে অসংখ্য মানুষ এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ উদ্ধারকার্য জোরকদমে চলছে বটে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই সংগ্রামে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়া আহত মানুষদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার আশা ক্রমশঃ কমে আসছে৷ সোমবার সারাদিনের পর রাতেও উদ্ধার তৎপরতা জারি ছিল৷ দমকল ও উদ্ধার কর্মীরা ১০০-ও বেশী মানুষকে উদ্ধার করেছে৷ কিন্তু এর মধ্যে বৃষ্টি ও প্রবল শীতের ফলে উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা সমস্যার মুখে পড়েছে৷

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ভূমিকম্প হওয়ার ফলে শহরের নিদ্রারত মানুষ দ্রুত ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাবার সময় পান নি৷ বাড়িঘর ধ্বসে পড়ায় তাদের অনেকেই আটকা পড়েন৷ বিপর্যয়ের ফলে প্রায় ১০,০০০ বাড়িঘর হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে৷ প্রায় ৫০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷ ওনা গ্রামে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত ও প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ হয়ে পড়েছেন৷

ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও ব্যার্লুস্কোনি উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত সাহায্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন৷ শহরের মানুষকে তিনি রাতে ঘরবাড়িতে না ফেরার পরামর্শ দেন৷ তাঁর মতে, মূল ভূমিকম্পের পর সাধারণত যে কম্পন অনুভব করা যায়, তা ঐ এলাকার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সহায়তার জন্য গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ তহবিল থেকেও আর্থিক সাহায্য পৌঁছচ্ছে ঐ এলাকায়৷

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে ইটালির এক বৈজ্ঞানিক লাকিলা শহর সংলগ্ন এলাকায় বড় ধরণের এক ভূমিকম্পের পূর্ববাণী করেছিলেন৷ ভূমিকম্প প্রবণ ঐ এলাকায় ব়্যাডন গ্যাসের আধিক্যের ভিত্তিতে তিনি ঐ আশঙ্কা করছিলেন৷ তবে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ করা হলে ঐ বিজ্ঞানী ইন্টারনেট থেকে তাঁর প্রকাশিত সাবধানবাণী সরাতে বাধ্য হন৷