1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির উত্থান

১১ এপ্রিল ২০১২

দীর্ঘমেয়াদী সংকট এড়াতে ইউরো এলাকায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অন্যান্য কিছু কারণে ইউরোপের পুঁজিবাজার শান্ত হতে পারছে না৷ এরই মধ্যে জার্মানির অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ শোনা গেল৷

https://p.dw.com/p/14aYo
ILLUSTRATION - Zwei Ein-Euro-Münzen, eine davon aus Griechenland, stehen am Montag (27.02.2012) auf einem Granitpoller vor dem Bundestag in Berlin. Das Parlament berät an diesem Tag in einer Sondersitzung über Finanzhilfen für Griechenland und den kommenden Europäischen Rat in Brüssel. Foto: Tim Brakemeier dpa/lbn usage Germany only, Verwendung nur in Deutschland
ছবি: picture alliance/dpa

শুক্র থেকে সোমবার বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ইউরোপের পুঁজিবাজার ছিল পড়তির দিকে৷ বিশেষ করে ব্যাংকগুলির শেয়ারের মূল্য বেশ বড় মাত্রায় নেমে যায়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরো এলাকার ঋণ সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা এখনো কাটছে না৷ তার উপর বাজেট ঘাটতির মাত্রা কমাতে স্পেন তড়িঘড়ি করে ব্যাংকগুলির রাষ্ট্রীয় শেয়ার বিক্রি করছে৷ ইটালির ব্যাংকগুলি মার্চ মাসে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক – ইসিবি থেকে রেকর্ড ২৭,০০০ কোটি ইউরো ঋণ নিয়েছে৷ পর্তুগালের ব্যাংকিং জগতও ভীষণভাবে ইসিবি'র উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে৷ এসব ঘটনার ফলে বাজারে তারল্য নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ তাছাড়া বিশ্বায়নের এই যুগে কোনো এলাকার আর্থিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বাকিদের থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ যেমন ইউরোপের দুর্বলতার কারণে চীনের রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ সেদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদাও কমতির দিকে৷ অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ধীর গতির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতির হার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না৷ এই সব খবর পেয়ে ইউরোপের পুঁজিবাজারও চিন্তিত, কারণ এই দুই দেশের সঙ্গে ইউরোপের রপ্তানি বাণিজ্য অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷

মোটকথা ইউরো এলাকা সম্পর্কে বাজার এখনো উদ্বিগ্ন৷ ভবিষ্যত সংকট কাটাতে জরুরি তহবিলের মতো রক্ষাকবচের সিদ্ধান্তকে বাজার স্বাগত জানিয়েছিল বটে৷ কিন্তু ইউরো এলাকার দুর্বল দেশগুলি এই মুহূর্তে কী করছে, সেটাও উপেক্ষা করতে পারছে না আর্থিক জগত৷ তার উপর ফ্রান্সের অর্থনীতি আপাতত মন্দা এড়াতে পারলেও বছরের প্রথম তিন মাসে ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি৷ পেট্রোলিয়ামের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলেও ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে৷ ইউরো'র বিনিময় মূল্যের হেরফেরের ফলে ক্ষতির সঠিক মাত্রা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এই প্রবণতা অবশ্যই অপ্রত্যাশিত এক সংকট বয়ে এনেছে৷ পেট্রোলিয়ামের দাম ইউরো মুদ্রায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে৷ আইএমএফ'এর পূর্ববাণী অনুযায়ী ২০১২ সালে ইউরো এলাকার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ০.৫ শতাংশ কমে যাবে৷

এই অবস্থায় একমাত্র সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে জার্মানি থেকে৷ মঙ্গলবারই জার্মানির রপ্তানি সংক্রান্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে যে জার্মান অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ বিশেষ করে গত মাসেই শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনের হার ১.৩ শতাংশ কমে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল৷ কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির রপ্তানির মাত্রা ছিল ৯,১৩০ কোটি ইউরো৷ অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় রপ্তানির হার ৮.৬ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ বিশেষজ্ঞরা এমনটা ভাবতেই পারেন নি৷ অতএব ইউরো এলাকার রক্ষাকর্তা হিসেবে জার্মানির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল বলা চলে৷ সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে ইউরোপের আর্থিক ও অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি স্থির করার ক্ষেত্রে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল'এর সরকার আরও শক্তিশালী কণ্ঠে সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ অনেকের ধারণা, বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে জার্মানির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি গোটা ইউরোপে অনুসরণ করার প্রবণতা আরও বেড়ে যাবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ