1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দিতে নীতিগতভাবে রাজি সরকার

শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়১০ সেপ্টেম্বর ২০০৮

সিঙ্গুর থেকে মমতা ধর্না তুলে নিয়েছেন, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দিতে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে সরকার, তৈরি হয়েছে কমিটি, কিন্তু সিঙ্গুরের মুল সমস্যা মেটার এখনও কোন লক্ষণ নেই৷

https://p.dw.com/p/FFgy
রতন টাটাছবি: AP

বুধবার প্রথমবারের জন্য সিঙ্গুর ঘুরে দেখল চার সদস্যের কমিটি৷ পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগমের অধিকর্তা সুব্রত গুপ্ত এবং গুগলির জেলাশাসক নিলম মিনা সরকারপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন কমিটিতে৷

অন্যদিকে বিরোধী পক্ষের হয়ে এই কমিটিতে আছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং কৃষিজমি, জীবন ও জীবিকা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বেবারাম মান্না৷ সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের ভিতরে এবং বাইরে যে জমি ফেরত দেয়া সম্ভব, তা চিহ্নিত করতেই বুধবার চারজনে সিঙ্গুর যান৷ কিন্তু মঙ্গলবার শিল্প উন্নয়ন নিগমের দফতরে এই কমিটির যে বৈঠক হয়, তাতে রবীন্দ্রনাথ ভট্টচার্য দাবি করেন, ৩০০ একর জমি ফেরত দিতে হবে৷ এবং তার বেশিরভাগই ফেরত দিতে হবে টাটা প্রকল্প এলাকার ভেতরের জমি থেকে৷ কিন্তু সহজবোধ্য কারণেই এটা সম্ভব নয়৷

কারণ এদিনই সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের অনুসারী শিল্পসংস্থাগুলো রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের যেন মূল প্রকল্প থেকে আলাদা না করা হয়৷ টাটা মোটরস এই সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলেছিল৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তারা নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে৷ বুধবার মহাকরণে শিল্পসচিব সব্যসাচী সেন এ খবর সাংবাদিকদের দিয়েছেন৷

অন্যদিকে সারাদিন সিঙ্গুর ঘুরে ফিরে আসার পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন কমিটিতে সরকারপক্ষের দুই প্রতিনিধি৷ শুধু এটুকুই জানা গেছে যে, বৃহস্পতিবার কমিটি আবার বৈঠকে বসবে৷

বুধবার সারাদিনের ব্যস্ততার দিকে সতর্ক নজর রাখলেও টাটা মোটরসের তরফ থেকে এদিন আর কোনও মন্তব্য করা হয়নি৷ কারণ আগের দিনই রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে টাটা গোষ্ঠী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, সিঙ্গুরে তাদের মূল কারখানা এবং অনুসারী শিল্পের নকশা যদি কোনওভাবে বদলাতে হয় তাহলে সিঙ্গুর প্রকল্পের ভবিষ্যত্‌ পুনর্বিবেচনা করবে টাটা৷ পরের দিনই অনুসারী শিল্পগুলির জায়গা বদলাতে আপত্তির কথা সাফ জানিয়ে দেওয়ায়, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গেলো৷