1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালিকানা নেই নারীদের

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ নারীর সম্পদের ওপর কোনো মালিকানা নেই৷ ফলে তাঁরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ওপর যেমন নির্ভরশীল থাকেন তেমনি নিজেরা কিছু করতে চাইলে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না৷

https://p.dw.com/p/1Cdxd
Frauen Textilarbeiterinnen Näherinnen Bangaldesch Gewandnäherinnen
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

‘নারীর জন্য অর্থনৈতিক ন্যায্যতা: ন্যায্য মজুরি, সম্পদ ও সম্পত্তিতে অধিকার এবং বাজারে প্রবেশাধিকার' শীর্ষক এক গবেষণায় নারীর সম্পদে অধিকারহীনতা ছাড়াও আরো অনেক তথ্য উঠে এসেছে৷ ‘স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট' এবং ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন' যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে৷

গবেষণায় দেখা যায়, ৭০ শতাংশ নারীর সম্পদের মালিকানা নেই৷ এক শতাংশের সম্পদ থাকলেও পরবর্তীতে তা হারিয়েছে৷ ২৯ ভাগ নারী সম্পদের মালিক হয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে৷ নারী উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের ৮২ শতাংশ জানান, তাঁদের সম্পদে নিজের অধিকার বা মালিকানা নেই৷ অধিকাংশ নারীই নিজের সম্পদ ব্যবহারে কোনো মতামতও দিতে পারেন না৷ মাত্র ২৬ শতাংশ নারী মতামত দেয়ার সুযোগ পান৷

এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের বাজারে প্রবেশে নানাধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়৷ ৬০ শতাংশ নারী তাঁদের পণ্য বা সেবা বাজারজাত করতে গিয়ে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হন৷

দেশের ছয় বিভাগের ৮ উপজেলার ৮৩ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা ও ১১৯ শ্রমিকের ওপর এই জরিপ চালানো হয়৷ শ্রমিকদের মধ্যে ৫১ জন পুরুষ ও ৬৮ জন নারী ছিলেন৷

এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, সমাজে সমতা ছাড়া ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়৷ সবার আগে সমতা আনতে হবে৷ নারী এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে৷ তিনি বলেন, নারী যদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করত তবে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যেত৷ নারীকে শুধু অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে তার অর্থনৈতিক মুক্তি বা স্বাধীনতা দেয়া যায় না৷ তাকে সম্পদের মালিকানাও দিতে হবে, দিতে হবে সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা৷

মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রচলিত আইন এবং দীর্ঘদিনের সামাজিক এবং পারিবারিক ব্যবস্থাই সম্পদে নারীর মালিকানা প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা৷ তিনি বলেন নারী এখনো উত্তারাধিকার সূত্রে পুরুষের চেয়ে কম সম্পদ পান৷ আর পেলেও তা অনেক সময়ই তার নামে থাকে না৷ অন্যদিকে পরিবারের যৌথ আয়ের সম্পদেও নারীকে মালিকানা দেয়া হয় না৷ তিনি বলেন অনেক সময় নারীদের অসচেতনতাও সম্পদের মালিকানা অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷

এলিনা খান জানান, বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইন ‘পার্সোনাল ল' দিয়ে পরিচালিত হয়৷ তাই একেক ধর্মে নারীদের উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের বিধান একেক রকম৷ আর পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণেও নারীরা তাদের প্রাপ্য সম্পদ পান না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য