1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবোলার বিরুদ্ধে অভিযান

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

গত সোমবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন যখন পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা বা ইবোলার বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য স্বেচ্ছাসেবীর ডাক দেন, তখন অনেকের মনোভাব ছিল: ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’?

https://p.dw.com/p/1DJkV
Bundesverteidigungsministerin Ursula von der Leyen
ছবি: picture-alliance/dpa/Maurizio Gambarini

এবোলা একটি ভয়ংকর মহামারী৷ পশ্চিম আফ্রিকার অবস্থাও এখন বিশৃঙ্খল৷ এই পরিস্থিতিতে সেখানে সরকারি আদেশ দিয়ে জার্মান সৈন্য পাঠানোর অর্থ, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সরকারকে তাঁদের বীমা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নানা আইনগত সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে হতে পারে – প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়ত যা করতে চাননি৷ স্বদেশে সৈন্যদের প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা মহামারীর বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে বলা চলে – কিন্তু বিদেশে? বস্তুত একটি মানবিক মিশনে?

Ebola in Liberia 09.09.2014
এবোলা একটি ভয়ংকর মহামারীছবি: picture-alliance/dpa/A. Jallanzo

এক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনী ও জার্মান সমাজ তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মান রেখেছে: ফন ডেয়ার লাইয়েন ডাক দেবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনীর ৫০০ জন সদস্য জানিয়েছেন যে, তাঁরা স্বেচ্ছায় এবোলার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যেতে রাজি৷ এই স্বেচ্ছাসেবীরা ‘বুন্ডেসভের', অর্থাৎ জার্মান সেনাবাহিনীর প্রায় সব অংশ থেকে এসেছেন, বলে জানান জার্মান সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র৷

সৈন্যদের সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য হিসেবে যাঁদের ডাক পড়তে পারে, তেমন রিজার্ভ সৈন্যরা, এবং বেসামরিক ব্যক্তিরাও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন – ফন ডেয়ার লাইয়েন যাকে বলেছেন, ‘‘সাহায্যের প্রস্তুতির একটি চমৎকার নিদর্শন''৷ বিশ্ব তথা ইউরোপের অপরাপর দেশেও অনুরূপ সাহায্যের প্রস্তুতি পরিলক্ষিত হয়েছে: যেমন ব্রিটেনের সরকারি স্বাস্থ্য সেবার মোট ১৬০ জন সদস্য এবোলার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যেতে প্রস্তুত৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারবর্গ ইউরোপীয় ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত৷ ২৮টি ইইউ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীবর্গ ইটালির মিলানে মিলিত হয়ে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেটি হলো: এবোলার বিরুদ্ধে অভিযানে ইউরোপীয় ত্রাণকর্মীরা যদি নিজেরাই সংক্রমণের শিকার হন, তাহলে তাদের নিয়ে কী করা হবে৷ সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ত্রাণকর্মীর অকুস্থলেই চিকিৎসা করা হবে, নাকি রোগীকে বিমানযোগে স্থানান্তরিত করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন, বলে ইইউ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ধারণা৷ ইইউ দেশগুলির একক সরকারবর্গ বিমান, ত্রাণকর্মী ও রোগীদের জন্য বিশেষ ‘স্ট্রেচার' প্রদান করবেন, সেটিও এক সিদ্ধান্ত৷

লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রতি জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ লাইবেরিয়াতেই এবোলার প্রকোপ সর্বাধিক, বলে সারলিফ জানান: সংক্রমিতদের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি; অর্ধেকের বেশি রোগীর মৃত্যু ঘটে থাকে৷ জাতিসংগের এক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি লাইবেরিয়া সফর করার পর জানিয়েছেন যে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ৭০০ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন৷ বর্তমানে সেখানে বড়জোর শ'দেড়েক বিদেশি চিকিৎসক, পরিচারক ও নার্স কাজ করছেন৷ রোগীদের আলাদা রাখার জন্য মাত্র ৪০০টি ‘বেড' রয়েছে, অথচ প্রয়োজন দুই হাজার ‘বেডের'৷

এসি/ডিজি (ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য