মুম্বই হামলা চার বছর
২৬ নভেম্বর ২০১২২০০৮ সালের আজকের দিনে সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্য নগরী মুম্বই৷ সেই ঘটনার চারবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গোটা দেশের মানুষ৷ সংসদে আজ দু মিনিট নীরবতা পালন করা হয় শহীদদের স্মরণে৷ দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
পাঁচদিন আগে মুম্বই জঙ্গি হামলার একমাত্র ধৃত সন্ত্রাসী আজমল কাসভের ফাঁসি এখনও তাজা মানুষের মনে৷ কাসভের ফাঁসিকে নিহতদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ৷ পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালিবান আজমলের ফাঁসির বদলা নেবার হুমকি দেয়ায় মুম্বই, দিল্লিসহ দেশ জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা৷ সীমান্তে, বিমানবন্দরে, উপকূলভাগে, রেলস্টেশনে, পরমাণু কেন্দ্রে কড়া নজর পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর৷ নজর রাখা হয় ঐ হামলার বলি তাজ হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল, নরিম্যান হাউসের দিকে৷
দক্ষিণ মুম্বই-এ পুলিশ শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ গতকাল মুম্বই শহরে বের করা হয় শান্তি মিছিল৷ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা৷ কাসভের ফাঁসির পর মূল চক্রীদের শাস্তির দাবি করেন তাঁরা৷
জঘন্য মুম্বই হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে দিল্লির জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোকাবিলায় জার্মানিসহ গোটা বিশ্ব আজ ঐক্যবদ্ধ এবং ভারতের পাশে৷ উল্লেখ্য, ৬০ ঘণ্টা ধরে ঐ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা৷ নিহত হয় ১৬৬জন, তার মধ্যে তিনজন জার্মান নাগরিক৷
পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিদের মতে, ২৬/১১'র মত হামলার মোকাবিলায় নিরাপত্তা অবকাঠামো আগের চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে৷ সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, যোগাযোগ ও নজরদারি সরঞ্জাম, উন্নত প্রশিক্ষিত কুইক রেসপন্স কমান্ডো টিম গড়ে তোলা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ১০০ শতাংশ সাফল্যের গ্যারান্টি দেয়া কঠিন৷ তাই শেষকথা সাধারণ মানুষের চোখকান খোলা রাখা৷