1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতিবাজ

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২

দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক৷ কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানান, একজন পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে ইতিমধ্যেই৷

https://p.dw.com/p/16H96
Korruption in Bangladesch, Banknoten als Bestechung Datum: 06.12.2011 Eigentumsrecht: AHM Abdul Hai, Bengali Redaktion, DW, Bonn
ছবি: DW

অল্প বেতনে সরকারি চাকরি করেও শুধুমাত্র দুর্নীতির কারণে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন অনেক পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্ষেপে দুদক৷ দুর্নীতি ছাড়াও চারিত্রিক স্খলন ঘটিয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন অনেকে৷ এমন অন্তত ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছে দুদক৷ তাদের সম্পদের অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষও করে ফেলেছে কমিশন৷

পুলিশ সার্জেন্ট আজহার আলীর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করেছে দুদক৷ পুলিশের এই দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার বেশি নয়৷ কিন্তু নিজের উপার্জনেই তিনি গ্রীনরোডে তৈরি করেছেন একটি আলিশান বাড়ি৷ গুলশানেও কিনেছেন বিলাসবহুল ফ্লাট৷ আর ধানমন্ডির একটি ফ্লাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন৷ তার তিন ছেলের স্কুল যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি দামি মাইক্রোবাস৷ এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে৷

দুদকের কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানালেন, পুলিশ সার্জেন্ট আজহার আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু হয়৷ ইতিমধ্যে তদন্ত শেষ হয়েছে৷ তাতে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে৷

দুদকের কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আরো বলেন, শুধু আজহার আলী নয়, এমন ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে৷ শিগগিরই এসব তদন্ত তারা শেষ করবেন৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন - পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির ও উপ-পরিদশর্ক শাহ আলম মোল্লা৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে শাস্তি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলেই এই প্রবণতা কমতে পারে৷ আর তা না হলে পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা কখনই পাওয়া যাবে না৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য