1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১০ চীনা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ওয়েন জিয়াবাও

৫ মার্চ ২০১০

শুক্রবার চীনের রাজধানী বেইজিং-এ শুরু হয়েছে ন’দিন ব্যাপী একাদশ জাতীয় গণ কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন৷ যেখানে বিশ্ব আর্থিক মন্দার প্রেক্ষাপটে, চীনের উন্নয়নের একটি ‘রোড ম্যাপ’ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও৷

https://p.dw.com/p/MLVY
চীনের একাদশ জাতীয় গণ কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওছবি: AP

এদিন চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও ২০০৯ সালের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে, জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধির উদ্দেশে সরকারের কার্যবিবরণী দাখিল করছেন৷ পাশাপাশি বাড়িঘরের দাম, আয় ও চিকিত্সাসহ চীনের জনসাধারণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘‘আর্থিক উন্নয়নকে জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করা থেকে আলাদা করে দেখলে চলবে না৷ আমার মতে, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল লক্ষ্য৷''

বিবরণীতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও বিকাশ বজায় রাখা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন পদ্ধতির রূপান্তর ও আর্থ কাঠামোর পুনর্গঠন দ্রুততর করা এবং জনজীবন ও সমাজের সমতা ত্বরান্বিত করাকে সরকারের চলতি বছরের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, আর্থিক মন্দার ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও তার সমাধানের ক্ষেত্রে চীন সরকারের দৃঢ়সংকল্প ও প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়েছে ঐ বিবরণীতে৷

বলাই বাহুল্য, চীন সরকারের প্রত্যয়ের মূলে রয়েছে ২০০৯ সালে বিশ্ব আর্থিক সংকট মোকাবিলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য৷ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবনতির পটভূমিতে, চীনের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ অর্থাৎ, গত বছরের গোড়ার দিকে সরকারের কর্মকান্ড সংক্রান্ত বিবরণীতে উন্নয়নের যে সব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা মোটামুটিভাবে সম্পন্ন হয়েছে চীনে৷ দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হলেও চীন সরকার এ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে তার আশাবাদ প্রকাশ করেছে৷ এভাবে চললে, অভ্যন্তরীণ জিডিপি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং বেকারত্বের সংখ্যা ৪.৬ শতাংশ ও মূল্য বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে চীনে৷

তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত করতে ওয়েন জিয়াবাও সমস্যা সমাধানের ধারাবাহিক ব্যবস্থা উপস্থাপন করেছেন৷ যার আওতায়, ইতিবাচক আর্থিক নীতি ও মুদ্রা বিষয়ক নমনীয় নীতি চালু করা, অধিবাসীদের কেনা-কাটার চাহিদা বাড়ানো, আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠন করা, বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমন্বয় ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং নগরায়ন ও নতুন গ্রামাঞ্চল গড়ে তোলার গতি দ্রুত করার পদক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ আর এর জন্য, বিদেশে বিনিয়োগকৃত পুঁজির নিয়ন্ত্রণ জোরদার, জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষা, চিকিত্সা ও শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, ইন্টারনেট এবং সর্বাধুনিক নির্মাণ শিল্প উন্নয়নের কার্যক্রমও পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

এছাড়া, কূটনীতির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, চীন অব্যাহতভাবে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি অনুসরণ করবে এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অটল থাকবে৷ জিয়াবাও-এর কথায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে আগ্রহী চীন৷ আগ্রহী বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য নতুন অবদান রাখতেও৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক