1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১৯টি বিড়াল হত্যার দায়ে এক কিশোর আটক

৮ জুলাই ২০০৯

কথায় আছে, বিড়ালের প্রাণ! হাজার মারলেও মরে না৷ কিন্তু পরিস্থিতি এখানে কিছুটা ভিন্ন৷ নরম লোমের বিড়াল বাবাজি এবার কুপোকাত হয়েছে মায়ামির এক কিশোরের হাতে ৷ তাও একটি দুটি নয় একেবারে ১৯টি বিড়াল৷

https://p.dw.com/p/IjTr
ফাইল ফটোছবি: AP

এলাকার বিড়াল মালিকরা তাই এখন খুবই আতঙ্কে তাদের দিন কাটাচ্ছেন বিড়াল হারানোর ভয়ে৷ যদিও এই অপরাধের দায়ে কিশোরের সাড়ে নয় বছর কারাগারে আটক থাকতে হতে পারে বলে জানাচ্ছে দেশটির আদালত৷

ঘটনাটি খুব বেশি আগের নয়৷ আর দশটা সাধারণ কিশোরের মতোই টিলার উইনমান বিড়াল অনেক ভালবাসতেন৷ পরিবার এবং এলাকাবাসীর মতে, তার রয়েছে অনেক বেশি প্রাণীপ্রীতি৷ তাইতো প্রতিবেশীদের বিড়ালগুলো প্রায়ই তার ঘরে আসতো৷ কিন্তু হঠাতই ঘটে গেল অবাক করা সব ঘটনা৷ টিলার তার বাড়িতে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা বিড়ালগুলোকে হত্যা করতে শুরু করলো৷ তবে এখানেই তার বিড়ালের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের শেষ নয়৷ বিড়ালগুলোর শরীর ছিন্ন-ভিন্ন করে তার মালিকের বাড়ির সামনে ফেলে আসা ছিল তার এই নিষ্ঠুরতারই একটি অংশ৷ ব্যাপরটিতে কোন রকম রাখ ঢাক রাখতেও সে পছন্দ করতো না৷

ফ্লোরিডা পুলিশের ভাষ্য মতে, টিলার একজন সিরিয়াল বিড়াল হত্যাকারী৷ আর বিষয়টি অবশ্যই সমাজ বিরোধী একটি কাজ৷ আদালত তার বিরুদ্ধে বিড়ালের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য ১৯টি বিড়াল বিষয়ক মামলা করেছে৷ এছাড়া আরো হয়েছে বিড়ালের শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার জন্য ১৯টি মামলা৷ এখানেই শেষ নয়৷ বিড়াল আত্মসাতের জন্য আরো চারটি মামলাও করেছে আদালত৷ দেশটির প্রাণী আইন আনুযায়ী প্রতিটি মামলার জন্য টিলারের সর্বোচ্চ ছয় মাসের সাজা হতে পারে৷এই হিসাবে, টিলারের সাজা হতে পারে ৮ বছর৷ সাথে থাকবে, নির্ধারিত ৫হাজার ডলারের জরিমানা৷

বর্তমানে ১৮ বছরের এই কিশোর ২ লাখ ৪৯ হজার ৫শ ডলার জামানত দেবার পর গৃহবন্দী রয়েছে৷ সোমবার আদালেত বিষয়টি নিয়ে শুনানি থকালেও টিলার সেখানে হাজিরা দেয়নি৷ আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার