1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের সন্ধান

৯ জুলাই ২০০৯

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা তিনটি নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন৷ শুক্রবার সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার জনবিরল এলাকা উইনটন থেকে এসব কংকাল পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/Ik9S
ফাইল ফটোছবি: AP

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এসব ডাইনোসর প্রায় ১০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করতো৷ ‘পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান' এর সাময়িকীতে এসব ডাইনোসরের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে একটি ব্যাঞ্জো প্রজাতির মাংসাশী ডাইনোসরের দেহাবশেষ৷ এটি দুই মিটার লম্বা এবং এর প্রত্যেক হাতে তিনটি করে দীর্ঘ ও চিকন খাঁজ কাটা নখর রয়েছে৷ ব্যাঞ্জো প্রজাতির ডাইনোসরগুলোকে সেসময়ের চিতাবাঘ বলা যায়৷ অভিমত, কুইন্সল্যান্ড জাদুঘরের জীবাশ্মবিদ স্কট হকনালের৷ তিনি মনে করেন, ঐ ডাইনোসরগুলো ছিল হাল্কা এবং ক্ষিপ্রগতির৷ ওরা খোলা ময়দানে তাদের শিকারদের তাড়া করে ধরতো৷

এছাড়া অপর দু'টি দেহাবশেষ উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরের৷ একটি ক্ল্যান্সি এবং অপরটি ম্যাটিল্ডা প্রজাতির যাদের দেহ বেশ লম্বা৷ হকনালের মতে, ব্যাঞ্জো এবং ম্যাটিল্ডা সম্ভবত শিকারজীবী প্রাণী ছিল৷ আর এক পর্যায়ে ওরা নিজেরাই শিকারে পরিণত হয়৷ পশ্চিম কুইন্সল্যান্ডের উইনটন এলাকায় মাটির নিচে তাদের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে৷ তাঁর ধারণা, প্রায় ৯ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে সেখানে শুকিয়ে যাওয়া কোন জলাধারে তাদের একসাথে পুঁতে রাখা হয়েছিল৷ আর উইনটনেই ১৮৮৫ সালে কবি ব্যাঞ্জো প্যাটেরসন রচনা করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত গান ‘ওয়াল্টজিং ম্যাটিল্ডা'৷

কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ্যানা ব্লিগ বলেন, এসব আবিষ্কার অস্ট্রেলিয়ায় প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগের বিজ্ঞান চর্চার প্রধান সাফল্যের নমুনা৷ ব্লিগ উইনটনে প্রাকৃতিক ইতিহাস বিষয়ক জাদুঘরে ‘অস্ট্রেলিয়ান এইজ অব ডাইনোসরস' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য প্রকাশ করেন৷ ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রড ওয়েলস এর মতে, মেরুদণ্ডী প্রাণীদের জীবাশ্মবিদ্যার গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি চমৎকার ময়দান৷ এমনকি প্রায় উত্তর আমেরিকার সমপরিমাণ অঞ্চল যা এখনও অনুসন্ধানের বাইরেই রয়ে গেছে৷

উল্লেখ্য, উইনটন জীবাশ্মবিদদের জন্য একটি গুপ্ত ভাণ্ডার হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে৷ ২০০১ সালে সেখানে স্থানীয় এক কৃষক ভেড়া চরাতে গিয়ে একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম পেয়েছিলেন৷ তবে এবারের আবিষ্কার অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ হকনালের প্রত্যাশা, এই খাদের আশপাশে আরো শত শত জীবাশ্ম পাওয়া যাবে৷ তবে সেসব আবিষ্কারের জন্য আমাদের ভালোমত প্রস্তুতি নিতে হবে৷ মেলবোর্নের লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির জীবাশ্মবিদ বেন কিয়ার প্রায় একই সুরে বলেছেন, এই আবিষ্কার অস্ট্রেলিয়ার ডাইনোসর এবং তাদের পরিবেশ নিয়ে নতুন করে গবেষণার পথ উন্মোচন করে দিয়েছে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক