1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হে দণ্ডদাতা একটি দণ্ড দাও’

আশীষ চক্রবর্ত্তী২৪ এপ্রিল ২০১৩

‘‘সাভারের রাস্তা দিয়ে হাটলে অতি বড় পাষণ্ডও চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না৷ ঘরে ঘরে শোকের মাতম৷ অনেক লোক আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে৷ তাদের জন্য রক্তের প্রয়োজন৷ যারা রক্ত দিতে আগ্রহী দয়া করে যোগাযোগ করুন৷’’

https://p.dw.com/p/18Mj2
ছবি: Reuters

সাভারের পার্বতীনগরের একটি হাসপাতালে রক্ত দিতে যাওয়ার আহ্বান করে সামহয়্যারইন ব্লগে কথাগুলো লিখেছেন ব্লগার মোহাম্মদ ওবায়দুল হক মাহমুদ (মিঠু)৷

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘রানা প্লাজা' বুধবার ভবনটি ধসে পড়ে৷ ধ্বংস্তূপের নীচ থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত অন্তত ৮৫টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ আহত অবস্থায় স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে কয়েকশ মানুষকে৷ নয়তলার ভবনটি ধসে হতাহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে এ ঘোষণা দেন৷

এমন ঘটনায় জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা আগেও হয়েছে৷ দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়ার নজির কোনো সরকারের আমলেই অবশ্য দেখা দেখা যায়নি৷ এবারও তা-ই হবে, এমন আশঙ্কা ব্লগারদের মাঝেও রয়েছে৷ বিডিনিউজের দেয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম সাংবাদিক বলেছেন, আগে সতর্ক করার পর ভবন মালিক সোহেল রানা পরিদর্শক দলকে ভবন বন্ধ রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করলেও, পরে তা তিনি মানেননি৷ হতাহতের এ ঘটনা সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য বিজিএমইএ সুপারিশ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ভবন মালিক রানা পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভবনের মালিককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেয়ার বিষয়টি তাঁর মাথায় আছে, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

এদিকে, আহতদের রক্ত দেয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন অনেক ব্লগার৷ তবে কেউ কেউ এর বাইরেও তুলেছেন ভবনের মালিকসহ দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন লিখেছেন, স্পেকট্রাম, ফিনিক্স ভবন, রানা প্লাজা এগুলি নারকীয় নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতীকী নাম৷ কেন এই হত্যাযজ্ঞ? এ কি শুধুই উদাসীনতা? শুধুই দ্বায়িত্বহীনতা? না কিছু রক্ত পিপাসুর রক্তের তৃষ্ণা মেটাতেই মাঝে মাঝে এমন হত্যাযজ্ঞের আয়োজন?....প্রকৌশলী নকশা করে, শকুনের দৃষ্টিতে করে তদারক নির্মাণের৷ শতভাগ নিশ্চয়তা চাই মৃত্যু কুপের৷ সরকারি কর্মকর্তা মৃত্যুর নিশ্চয়তায় ভবনের নকশাকে দেন অনুমোদন৷ ধসে একে পড়তেই হবে৷ মৃত্যু পথযাত্রীর আর্ত চীৎকারে হতেই হবে বাতাস ভারি৷....কুশীলব যারা এই বীভৎস নাটকের আর কতবার ছাড় পাবে তারা?  করজোড়ে মিনতি হে দণ্ডদাতা একটি দণ্ড দাও৷ এমন দণ্ড দাও যাতে শয়তানের আত্মাও ওঠে কেঁপে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য