1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাৎসি জমানার মহাপাপ

৩০ জানুয়ারি ২০১৩

৮০ বছর, অর্থাৎ আট দশক আগে ক্ষমতায় এসেছিল আডলফ হিটলার৷ তার পরের ইতিহাস সবার জানা৷ শুধু জার্মানি নয়, প্রায় গোটা বিশ্বের উপর পড়েছিল তার পৈশাচিক শাসনকালের প্রভাব৷

https://p.dw.com/p/17UCY
ছবি: Ullstein

১৯৩৩ সালের ৩০শে জানুয়ারি৷ বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণ৷ বিশাল আয়োজন৷ নাৎসি প্রচারণাযন্ত্র প্রস্তুত৷ নাৎসি গুণ্ডা বাহিনীর প্রায় ২০,০০০ সদস্য মশাল জ্বালিয়ে কুচকাওয়াজ করছে৷ কয়েক ঘণ্টা আগেই আডলফ হিটলার তার লক্ষ্য পূরণ করেছে৷ প্রেসিডেন্ট পাউল ফন হিন্ডেনবুর্গ তাকে জার্মান রাইশের চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত করেছেন৷ হিটলারের অনুগামীরা তাই উৎসবে মেতে উঠেছিল৷ গোটা আয়োজনের পৌরোহিত্য করেছিল হিটলারের প্রচারণা যন্ত্রের প্রধান ইয়োসেফ গ্যোবেলস৷ হিটলারকে চ্যান্সেলারের প্রাসাদের জানালায় দাঁড় করিয়ে জার্মানির জন্য নতুন যুগের সূচনার কথা ঘোষণা করে সে৷ নাটকীয় সেই রাতকে ঘিরে যেন এক মায়াজাল রচনা করা হয়েছিল৷

Eröffnung der Ausstellung 1933 Der Weg in die Diktatur
হিটলারের ক্ষমতায় আশার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদর্শনীছবি: picture-alliance/dpa

সে যুগেও গণমাধ্যমের শক্তি সম্পর্কে সচেতন ছিল গ্যোবেলস৷ সিনেমার পর্দায়ও হিটলারের ক্ষমতায় আসার ঘটনা অমর করে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল৷ মূল ছবির আগে সংবাদ পরিবেশনের যে রেওয়াজ ছিল, তাতে রাখা হতো হিটলারের এই জয়গান৷ কিন্তু ৩০শে জানুয়ারি পদচারীরা সেই পরিকল্পনার কথা তো আর জানতেন না৷ ফলে বার বার তারা নাৎসি গুণ্ডা বাহিনীর মাঝে চলে আসছিলেন৷ বিরক্ত গ্যোবেলস ভালো ছবির স্বার্থে পরে আবার নতুন করে কুচকাওয়াজ করায়৷

হিটলারের উত্থানের ইতিহাস ভাইমার প্রজাতন্ত্রের পতনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে৷ ১৯১৮ সালে এই প্রজাতন্ত্রের গোড়ায়ই ছিল গণ্ডগোল৷ গণতান্ত্রিক ভাবাপন্ন মানুষ ছাড়াই এই গণতন্ত্র শুরু হয়েছিল৷ জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এই প্রজাতন্ত্র মানতে চায় নি৷ বিশেষ করে শিল্প-বাণিজ্য জগত, সরকারি কর্মচারী এমনকি রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেও প্রতিরোধ শুরু করেছিলেন৷ অভ্যুত্থানের একাধিক প্রচেষ্টাও ঘটেছিল৷ এমন শূন্যতা পূরণ করতে আসরে এসেছিল হিটলার৷ কিন্তু জার্মানির মানুষ এক কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে আরও ভয়ংকর এক যুগের দিকে এগিয়ে গেলেন৷ ৬০ লক্ষ ইহুদির গণহত্যার মতো ঘটনা আর কখনো, কোথাও ঘটে নি৷

Berlin Gedenkfeier für die Opfer des Nationalsozialismus
বার্লিন শহরে ইউরোপে গণহত্যায় নিহত ইহুদিদের স্মারকছবি: picture-alliance/dpa

যাঁরা নাৎসি আমলের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বুধবার বার্লিনে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এসেও কীভাবে সব ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায়, তা ফুটে উঠেছে সেই প্রদর্শনীতে৷

এসবি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য