1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাত-পা বিহীন ক্রইজঁ’র ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

ধাতুকর্মকার থেকে তারকা বনে গেলেন ৪২ বছর বয়সি ফিলিপ ক্রইজঁ৷ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় হাত-পা সবকিছু হারালেও অদম্য ইচ্ছা আর উৎসাহ হারাননি এই ফরাসি নাগরিক৷ সফলভাবে পাড়ি দিলেন ইংলিশ চ্যানেল৷

https://p.dw.com/p/PFop
English, Channel, England, France, ক্রইজঁ, ইংলিশ, চ্যানেল
ছবি: AP

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ফোকসটোন থেকে সাঁতার শুরু করেন ক্রইজঁ৷ রাত ৯.৩০ টায় চ্যানেলের অপর পাড়ে উইসান্টের কাছে ফরাসি উপকূলে গিয়ে পৌঁছেন তিনি৷ সাড়ে তেরো ঘণ্টা সাঁতার কাটেন বিশেষভাবে তৈরি কৃত্রিম পা দিয়ে৷ একজন স্বাভাবিক সুস্থ সাঁতারু ঘণ্টায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার বেগে সাঁতার কাটতে পারলেও প্রতিবন্ধী ক্রইজঁ সাঁতরাতে পেরেছেন ঘণ্টায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেগে৷ শনিবার দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রস্তুতি আর অনুশীলনের ফল পেলেন ক্রইজঁ৷ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার আগে গত মাসে ফ্রান্সের আটলান্টিক উপকূলের নইমুটিয়ে থেকে পর্নিক বন্দরের মধ্যে ১২ ঘণ্টার সাঁতার সম্পন্ন করেছিলেন ক্রইজঁ৷

ফ্রান্স ইনফো রেডিও'র সাথে সাক্ষাৎকারে উচ্ছাস আর আনন্দ ঝরে পড়ে ক্রইজঁর কণ্ঠে৷ বলেন, ‘‘আমি এটা করেছি৷ এটা অতিউৎসাহের ব্যাপার৷ আমি চেয়েছিলাম নিজের সীমাবদ্ধতাকে জয় করার প্রতীক হতে, সেটা আমি পেরেছি৷'' জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে একটি বাড়ির ছাদ থেকে টেলিভিশনের এরিয়াল সরাতে গিয়ে ২০ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চার হাত-পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন৷ এসময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ক্রইজঁ একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছিলেন৷ দেখলেন এক সাঁতারুকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে৷ আর তখনই তাঁর মধ্যে জন্ম নিয়েছিল এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন৷

সুস্থ হয়ে নেমে পড়েন স্বপ্ন পূরণের অভিযানে৷ দুই সন্তানের জনক ক্রইজঁ বলেন, ‘‘আমি এই দুঃসাহসিক অভিযান সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম আমার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সেসব বন্ধুদের জন্য যারা আমার মতো অকালে হারিয়েছে তাদের জীবনের স্বাদ৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক