1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাতি বাঁচাতে শ্রীলংকায় নতুন উদ্যোগ

২২ মে ২০১০

শ্রীলংকা সরকার সে দেশে হাতি সংরক্ষণে বিশেষ এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে৷ সেই সঙ্গে মানুষের সঙ্গে হাতির বিরোধ কমাতেও কাজ শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NUj2
ছবি: AP

গ্রীষ্মের একটি দিন৷ বড় এক গাড়িতে চাপিয়ে একটি দুটি নয় – চার-চারটি আহত শিশু হাতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোথাও৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, কোথায় ? উত্তর হলো – নিকটস্থ এক পশু পালন কেন্দ্রে৷ যেখানে তাদের হবে চিকিৎসা৷ তাদের নিয়েও যাওয়া হলো সেখানে৷ আজ এই চার শিশুর বয়স চার থেকে পাঁচ মাস৷ আর বয়স এক বছর হলেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে অভায়াশ্রমে৷ অবশ্য কানে লাগিয়ে দেয়া হবে বিশেষ এক ছোট্ট যন্ত্র৷ যার মাধ্যমে জানা যাবে তাদের গতিবিধি৷

বলছিলাম শ্রীলংকার কথা৷ শ্রীলংকার বন জঙ্গলে এখনো রয়েছে প্রায় চার হাজার হাতি৷ আর এই হস্তিকূলে খাদ্য ও আবাসনের সংকট হওয়ায় তারা জনবসতিতে নেমে আসছে৷ ভাবলেও অবাক হতে হয়, সেখানে ফি বছর মানুষের হাতে মারা যায় শতখানিক হাতি৷ কিন্তু এভাবে তো আর চলতে দেয়া যায় না৷ তাই সরকার নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷ বনে বা লোকালয়ে কোথাও হাতি মারা যাবে না – নির্দেশনা সরকারের৷ কিন্তু তারপরেও থেমে নেই প্রাণী হত্যা৷ তাই সরকার নিয়েছে বিশেষ এক কর্মসূচী, গ্রহণ করেছে একটি পাইলট প্রকল্প৷ যে কর্মসূচীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বোঝানো হচ্ছে যে, ‘রক্ষা করো হাতি, তাদেরকে থাকতে দাও তাদের মত৷' মানুষ এবং হস্তিকূলের সহাবস্থান গড়ে তোলার এই উদ্যোগে মানুষের সাড়াও ভালো- বলছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা৷ বন বিভাগের পশু চিকিৎসা এবং পূনর্বাসন কেন্দ্রে এখন কয়েক ডজন বাচ্চা হাতি রয়েছে৷ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে পরিচর্যা৷

Ein Elefantenbaby
শ্রীলংকার বন জঙ্গলে এখনো রয়েছে প্রায় চার হাজার হাতিছবি: picture-alliance/dpa

শ্রীলংকার পশু সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক আনন্দ জয়সুরিয়া জানালেন তিন বছর ধরে তাদের এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চলছে৷ তারা আশা করছেন, সাধারণ মানুষ হাতির কদর বুঝতে পারবে৷ অবশ্য তারা ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে যেন হাতিদের খাবার এবং আবাসনের কোন সমস্যা না হয়, প্রয়োজনীয় সেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন৷ তিনি জানালেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট৷ এক, আমরা হাতিদের রক্ষা করবো, দুই তাদের বংশ বিস্তারে যেন কোন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করবো৷'' তিনি আরও জানালেন, দেশের অন্য স্থান থেকে হাতিদের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নিয়ে আসার কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে৷ এ পর্যন্ত এ জন্য তারা ব্যয় করেছেন প্রায় দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন