1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের দায়ে ৪০০ বখাটে আটক

১৩ মে ২০১০

বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে ৬ তরুণীর আত্মহত্যার পর টনক নড়ল বাংলাদেশ সরকারের৷ এধরণের ঘটনা রোধে তাই পুলিশ গত কয়েকদিনে ৪০০ বখাটে তরুণকে আটক করেছে৷

https://p.dw.com/p/NMc5
তরুণীদের নিরাপত্তা এখন বড় প্রশ্ন (ফাইল ফটো)ছবি: DW

বেশিরভাগ বখাটেকেই নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেয়েদের স্কুলের সামনে থেকে৷ পুলিশের মুখপাত্র কামরুল আহসান এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, আমরা ছাত্রী উত্ত্যক্তের সঙ্গে জড়িত ৫৫৮ বখাটেকে ধরার চেষ্টা করছি৷ এখন পর্যন্ত আমাদের তালিকায় থাকা ৪৩২ জনকে আটক সম্ভব হয়েছে৷

ইদানিং বখাটেদের অত্যাচারে তরুণীদের আত্মহত্যা, স্কুলত্যাগসহ নানা ঘটনার খবর সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশ হচ্ছিল৷ বিষয়টি একইসঙ্গে বিব্রতকর ছিল সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের জন্য৷ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাই গত মাসে এধরণের ঘটনা কঠোর হস্তে দমনের নির্দেশ দেয় নিরাপত্তা বাহিনীকে৷

অবশ্য সর্ষের মধ্যেও ভূতের সন্ধান মিলেছে৷ গত সোমবারই ছাত্রী উত্ত্যক্তের দায়ে গোপালগঞ্জে আটক হয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবল৷ ছাত্রী উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে নিজেই সেই কাজে জড়িয়ে পরে ঐ পুলিশ৷ এরপর তার জায়গা হয় শ্রীঘরে৷

বাংলাদেশের রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের সামনে এখন বখাটেদের ধরতে অবস্থান নিয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ৷ তাদেরকে যে কোন বখাটেকে আটক করার বিশেষ ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট কিছু স্থানও সনাক্ত করা হয়েছে, যেখানে ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনা বেশি ঘটে৷ এই উদ্যোগের ফলও নাকি পাওয়া যাচ্ছে৷ আহসান জানিয়েছেন, তরুণী উত্ত্যক্তের ঘটনা গত কয়েকদিনে বেশ কমে গেছে৷

অবশ্য, ছাত্রী উত্ত্যক্তের কারণ হিসেবে বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থাকে খানিকটা দায়ী করেছেন মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক মাহতাব খানম৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশের পরিবারে মেয়েরা খুব কম মর্যাদা পায়৷ এবং এসব পরিবারের ছেলেরা বড় হয় এই বিশ্বাস নিয়ে, যে মেয়েরা মানুষ নয় বরং যৌনবস্তু৷

মাহতাব খানম মনে করেন, সাম্প্রতিককালে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার পেছনে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রসার ভূমিকা রাখছে৷ কারণ এর ফলে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যোগাযোগের উপায় বেড়েছে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী