1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে খালেদা-তারেক-কোকো

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৯ জুলাই ২০১৪

ওমরাহ হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া৷ সেখানে আসছেন তাঁর দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো৷ বিএনপি নেতারা বলছেন তাঁরা সেখানে শুধুই ইবাদত করবেন৷

https://p.dw.com/p/1CfUR
ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যাবেন খালেদা জিয়াছবি: Getty Images

কিন্তু সরকার এই সফরের ওপর নজর রাখছে৷ তারা মনে করছে খালেদা জিয়া তাঁর দুই ছেলে বিশেষ করে তারেক রহমানের সঙ্গে রাজনৈতিক পরামর্শ করবেন৷

শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন৷ বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, সৌদি আরবে ইবাদতের মাধ্যমে খালেদা জিয়া রমজানের দিনগুলো কাটাবেন৷ কাবা শরিফে ওমরাহ করার পাশাপাশি ইতেকাফ করবেন খালেদা জিয়া৷ আগামী ২৬ রমজান রাতে তাঁর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে৷

Tarique Rahman BNP Bangladesh
তারেক রহমান লন্ডনে বসে আন্দোলনের কাজ শুরু করেছেনছবি: cc-by-Shamsul alam66

এদিকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও লন্ডন থেকে সৌদি আরব যাচ্ছেন বলে জানা গেছে৷ তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানও থাকছেন৷ অন্যদিকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোও তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে সৌদি আরব যাচ্ছেন৷ প্রায় সাত বছর পর খালেদা জিয়া তাঁর দুই ছেলের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন৷

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়৷ আর একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো৷ ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান কোকো৷ আর ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান৷ সেই থেকে তারেক রহমান আর দেশে না ফিরে লন্ডনে স্ত্রী কন্যাসহ বসবাস করছেন৷ তিনি লন্ডন থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করলেও দেশে আসেননি৷

অন্যদিকে, থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো৷ ২০১২ সালে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে গেলে সেখানে কোকো তারঁ সঙ্গে দেখা করেন৷ একই বছর খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে তারেক রহমানেরও সাক্ষাৎ হয়৷ গতমাসেও তারেক রহমান লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন৷

এদিকে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর সৌদি আরবে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনার খবরে এই সফরকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না সরকার৷ সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন জানান, ‘‘তারা মনে করেন না যে শুধুই ইবাদত বন্দেগির জন্য এই সফর৷ তারা মনে করেন খালেদা জিয়া ঈদের পরে যে সরকার বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচির কথা বলছেন তা নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করবেন৷ তাই সরকার এই সফরের ওপর নজর রাখছে৷''

তারেক রহমান অবশ্য লন্ডনে বসে এরইমধ্যে আন্দোলনের কাজ শুরু করেছেন৷ নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে ঈদকার্ড পাঠিয়েছেন, পাঠিয়েছেন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে আলাদা চিঠি৷ জানা গেছে তারেক সরকারের ‘দুর্নীতির শ্বেতপত্র’ও তৈরি করছেন৷ আন্দোলনের আগে তা লন্ডনে প্রকাশ করা হতে পারে৷

এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘খালেদা জিয়া শনিবার সন্ধ্যায়ই সৌদি আরব যাচ্ছেন৷ সেখানে তারেক রহমান ও কোকো আসবেন কিনা তা তাঁর জানা নেই৷'' তিনি দাবি করেন, ‘‘এটি খালেদা জিয়ার একান্তই ব্যক্তিগত সফর৷ এরসঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই৷'' তবে তারেক রহমান যে এখন লন্ডনে বসেই আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত করছেন তা সত্য বলে জানান তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য