1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে আপাতত লোক পাঠাবে না ইন্দোনেশিয়া

২৪ জুন ২০১১

শিরচ্ছেদ বা গর্দান কেটে নেয়া সৌদি আরবে নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ এবার সে কারণে দেশটিতে কর্মী পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া৷ কারণ দেশের এক নাগরিকের শিরচ্ছেদ৷

https://p.dw.com/p/11iS5
Members of Lakmawa Diyaniyo, or daughters of Mother Lanka, protest out side the Saudi Arabia embassy in Colombo, Sri Lanka, Wednesday, Aug. 29, 2007. The protesters handed over a petition to the Saudi ambassador requesting a pardon for Sri Lankan house maid Rizana Nafeek who is facing a death sentence in Saudi Arabia. Nafeek was sentenced to death on June 16 for the alleged murder of an infant in her care. (AP Photo/Eranga Jayawardena)
জাকার্তায় সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভছবি: AP

রুয়াতি বিনতি সাতুবি৷ ইন্দোনেশিয়ার এই মহিলা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন সৌদি আরবে৷ কিন্তু যার জন্য কাজ করতেন, সেই সৌদি মহিলা প্রায়ই নির্যাতন করতো সাতুবিকে৷ ফলে একদিন সহ্য করতে না পেরে সাতুবি খুন করে বসেন তাঁর মালিক ঐ সৌদি মহিলাকে৷

এরপর গ্রেপ্তার করা হলে সাতুবি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন৷ পরে শিরচ্ছেদও করা হয় তাঁর৷

কিন্তু সাতুবি যেহেতু বিদেশি নাগরিক, তাই শিরচ্ছেদের আগে তাঁর দেশ, অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়াকে এ ব্যাপারে জানানো উচিত ছিল সৌদি সরকারের৷ এটা কূটনীতির একটা রীতির পর্যায়ে পড়ে৷ কিন্তু সৌদি আরব সেটা না করায়, এর প্রতিবাদে সে দেশে আপাতত কর্মী না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়ুধোইয়োনো৷

তিনি বলেছেন, সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ'র কাছে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠাবেন৷ টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়ুধোইয়োনো ঘটনাটিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷ প্রেসিডেন্ট'এর কথায়, যতোদিন পর্যন্ত না কর্মীদের কাজের পরিবেশ আরও উন্নত করা সংক্রান্ত চুক্তি হচ্ছে, ততোদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকবে৷

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিক কাজ করেন৷ এর মধ্যে বেশিরভাগই গৃহকর্মী৷

এর আগে ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ জনগণ সাতুবির শিরচ্ছেদের ঘটনায় নিন্দা জানায় এবং তাঁকে প্রয়োজনীয় আইনগত সুবিধা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে৷

তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্টি নাটালেগাওয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সাতুবির মালিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, তারা যেন সাতুবিকে মাফ করে দেয়৷ দেয়া হয়েছিল সেরকমই এক প্রস্তাব ৷ কিন্তু সরকারের এই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

অন্যদিকে অপর একটি ঘটনায়, ইন্দোনেশিয়ার আরেক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অপরাধে এক সৌদি মহিলাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷ পরে গত এপ্রিল মাসে অন্য একটি আদালত সেই দণ্ড মওকুফ করে দেয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ