জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের ‘হামেল্ন’ বা হ্যামিলন শহর এই কল্প কাহিনির অনেক চিহ্ন বহন করেচলেছে৷ আমি জানি না আসলেই এ রকম কোনো কাহিনি ঘটেছিল কিনা৷ তবে এই গল্পটি আজও পুরাতন হয়নি৷ আমি মাঝে মাঝেই আমার বাচ্চাকে গল্পটি শোনাই আর নিজেও হারিয়ে যাই সেই অজানা রহস্যে৷ আজকে আপনাদের ওয়েবসাইটে সেই পুরনো দিনের গল্পের স্মৃতিময় ছবিঘরটি আমার লেখাকে আটকাতে পারলো না৷ দু’কলম না লিখে কি করে থাকি!
ডয়চে ভেলের ই-মেল থেকে অন্বেষণ দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ এটা বেশ ভালো দিক৷ তবে ডয়চে ভেলের মতো প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুষ্ঠান শোনা বা দেখার জন্য কাউতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে এটা আমার কাছে বেশ কষ্টকর৷ যদিও এখন তাই হচ্ছে৷যখন আপনাদের রেডিও সার্ভিস চালু ছিল তখন কিন্তু আপনাদের কোনো শ্রোতাকে অনুষ্ঠান শোনার জন্য আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণ-পত্র বা মেল পাঠাতে হয়নি৷ এমনিতেই শত শত শ্রোতা আপনাদের মেলবক্স ভরে দিতেন৷ তবে অন্বেষণে যেহেতু পাঠকরা অংশ নিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে আরো একটি কুইজের আয়োজন করতে পারেন৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ঐতিহাসিক পুরনো শহর
৩০টিরও বেশি ভাষায় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি অনুবাদ করা হয়েছে৷ পায়ে হেঁটে হ্যামিলন শহরটি ঘুরে বেড়ালে দেখা যাবে এর সব জায়গাতেই রয়েছে বাঁশিওয়ালার গল্পের চিহ্ন৷ রয়েছে অসংখ্য বিশিষ্ট ভবন এবং রেনেসাঁ শৈলীর নমুনা৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বিয়ে বাড়ি
এই বাড়িটি ঐতিহাসিক ‘বিয়ে বাড়ি’ নামে পরিচিত৷ যা ১৬১০ থেকে ১৬১৭ সাল পর্যন্ত ইট আর বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ হ্যামিলনবাসীদের জন্য এই বাড়িতে নানা রকম উৎসবের আয়োজন করা হতো সে সময়৷ তবে এখন এখানে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়৷ প্রতিদিন সকাল ৯.৩০ মিনিটে বাঁশিওয়ালার গানের সুরে ৩৭ বার বাজানো হয় ঘণ্টা৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
পুতুল নাচ
পুতুল নাচের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন বেলা বাড়ির ছাদের নীচের এই ঘরটিতে দেখানো হয় বাঁশিওয়ালার গল্প৷ ১২৮৪ সালে হ্যামিলন ইঁদুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ তাই যে ইঁদুর তাড়াতে পারবে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়৷ তখনই আবির্ভাব ঘটে অদ্ভুত এক বাঁশিওয়ালার৷ সত্যি সত্যিই যখন তিনি মধুর সুরে তাঁর বাঁশি বাজাতে থাকে, তখন শহরের সব ইঁদুর তাঁকে অনুসরণ করতে করতে নদীতে ডুবে মরে৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বাঁশিওয়ালার গল্প
হ্যামিলনবাসী পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ শেষে বাঁশিওয়ালার প্রাপ্য টাকা দিতে অস্বীকার করে৷ তারপর আর কী? বাঁশিওয়ালা ফিরে এসে আবারো শুরু করেন বাঁশি বাজানো৷ এবার ইঁদুর নয়, হ্যামিলনের ছোট ছোট শিশুরা অনুসরণ করে তাঁকে৷ আর একটা সময় অদৃশ্য হয়ে যায়৷ হ্যামিলনবাসীদের জন্য বাঁশিওয়ার এ এক নিষ্ঠুর শাস্তি৷ জার্মান চিত্রকর গুস্তাভ স্পাঙেনব্যার্গ ১৮৯০ সালে শিশুদের চলে যাওয়ার দৃশ্যটা এভাবেই কাঠে খোদাই করেন৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
জাদুঘর
‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা না রাখার ফল হতে পারে ভয়ংকর’ – সম্ভবত এটাই ঐতিহাসিক এই ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ গল্পটির মূল বিষয়৷ এই জাদুঘরটিতে লেখা রয়েছে হ্যামিলনের রহস্যময় বাঁশিওয়ালার কাহিনি সম্পর্কে আরো নানা কথা, তথ্য৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ইঁদুর ধরা বাঁশিওয়ালার বাড়ি
হ্যামিলন শহরের পুরনো এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় রেনেসাঁ শৈলীতে তৈরি করা বাঁশিওয়ালার বাড়িটিতে৷ বাড়ির বারান্দায় পাশে খোদাই করে লেখা রয়েছে, ‘‘রংচঙে পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল৷’’
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ইঁদুরের স্মারক
হ্যামিলন শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়েই দেখা যায় ‘সুভেনিয়র’ বা স্মারকের দোকান৷ সেখানে সব রকম স্মারক, অর্থাৎ কাপ, গ্লাস, টি-শার্ট – সব কিছুর গায়েই রয়েছে বাঁশিওয়ালা গল্পের কোনো না কোনো চিহ্ন৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
জীবন্ত বাঁশিওয়ালা
মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি রবিবার বাঁশিওয়ালার গল্পটিকে পথ নাটকের মাধ্যমে দেখানো হয়৷ সেখানে ৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক হ্যামিলনবাসী ও শিশুরা বিশেষ পোশাক পরে ৩০ মিনিট ধরে বাঁশিওয়ালার গল্পের নানা কিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরেন৷ গড়ে ২,০০০ পর্যটক যা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
এটা কিন্তু খারাপ হবে না৷ চাইলে এ বিষয়ে আপনারা ফেসবুকে একটি মন্তব্য নিতে পারেন৷ আপনারা সবাই ভালো থাকবেন৷ মো.সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷
আপনাদের পাঠক ভাবনা নিয়মিত আপডেট সহ আমার কিছু দাবি আপনাদের কাছে তুলে ধরছি৷ আশা করি আমার চাওয়াগুলো বিবেচনা করবেন৷ পাঠক ভাবনা এক সপ্তাহ পরপর আপডেট করতে হবে৷ এখানে একজনের লেখা দীর্ঘদিন রাখা যাবে না৷ মাসিক কুইজ চালু করতে হবে৷ সামনে
ফুটবল বিশ্বকাপ, তাই বিশেষ কুইজের আয়োজন করতে হবে৷ ছবি দেখে ক্যাপশন লেখা অব্যাহত রাখতে হবে৷ এমএ বারিক, শিহলী, শিবগঞ্জ, বগুড়া৷
-
‘পাঠক ভাবনা’ এখন প্রতিদিনই আপডেট করা হচ্ছে৷ পাঠক বন্ধুদের কাছ থেকে যথেষ্ট মতামত পেলেই কেবল এই আপডেট করা ধরে রাখা সম্ভব৷ ধন্যবাদ আপনাদের৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ