1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুষমার ঢাকা সফর

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ জুন ২০১৪

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজের প্রথম একক বিদেশ সফর হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকে৷ তাই এ সফর নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, এতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে৷

https://p.dw.com/p/1CPr9
Indien Sushma Swaraj
ছবি: AP

ভারতে বিজেপি সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সুষমা স্বরাজই প্রথম মন্ত্রী, যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন৷ এই সফরের সময় ভারতের এই নব নির্বাচিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ এছাড়া রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি৷ আর শুক্রবার দেখা করবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচনকালীন বিজেপি আর ভারতের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির মধ্যে পার্থক্য এরই মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে৷ তাই ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের এই সফর সুভেচ্ছা সফর হলেও, এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে৷ জানান সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির৷

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে নানা রকম কথা বলায় এ সরকারকে নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি আছে বাংলাদেশে৷ কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর মনে হয়েছে নির্বাচনি কথা বাদ দিয়ে ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কই স্থাপন করতে চায়৷''

মোহাম্মদ জমির বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও ভাতের মধ্যে বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে যার সমাধান প্রয়োজন৷ এর মধ্যে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, স্থল সীমান্ত, সমুদ্রসীমা এবং বন্দি বিনিময় অন্যতম৷''

তিনি মনে করেন, শুভেচ্ছা সফর হলেও এই বিষয়গুলো এই সফরে প্রাধান্য পাবে৷ তাই তাঁর কথায়, ‘‘২রা জুলাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলার রায় হবে আন্তর্জাতিক আদালতে৷ স্বাভাবিকভাবেই এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর খুবই গুরুত্ব বহন করে৷''

ওদিকে সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপিও৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ, অভিন্ন পানির ন্যায্য হিস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘ভারতের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করেছে৷ তারা ক্ষমতায় আসার পর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে ভারত৷ তার অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ভুটান সফর করেছেন৷ আর এবার বাংলাদেশে আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এটা ইতিবাচক৷''

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে৷''

জানা গেছে, সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরে স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রাধান্য পাবে৷ ভারত এ ব্যাপারে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে৷ তারা চাইছে, এই চুক্তিটি করে ফেলতে৷ এতে করে বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হতে পারে৷ বিনিময়ে বাংলাদেশ যদি ভারতীয় পণ্যবাহী যানবাহন বাংলাদেশে ঢুকতে নাও দেয়, তাতেও হয়ত আপত্তি থাকবে না৷ কারণ ভারত মনে করে, এতে তাদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহণের খরচ কমে যাবে৷ এর সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের কাছে স্থল ট্রানজিট চায় ভারত৷ অন্যদিকে বাংলাদেশ চায় তিস্তার পানি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ব্যবসা-বাণিজ্য আর বন্দি বিনিময়৷

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের দিক থেকে সবচেয়ে জরুরি হলো তিস্তা নদীর জলবণ্টন, যেটাকে পণবন্দি করে রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে আসার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ তাঁর বুধবার রাতেই বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য