জামায়াত নিষিদ্ধের আবেদন
১২ আগস্ট ২০১৩অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান জানান, গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হোক৷ এর আগে ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়ে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন বলা হয়েছে৷ তাই তাঁরা সোমবার একই আপিলে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন৷
তবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে৷ মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪টি রায়ে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন বলা হয়েছে৷ তাই জামায়াতের বিরুদ্ধে এখন ট্রাইব্যুনালে আলাদাভাবে মামলা করতে হবে৷ তার জানামতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে৷ হয়তো মামলাও হবে৷ কিন্তু আপিল বিভাগে জামায়াত নিষিদ্ধের যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে কোনো ফল পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন না৷
তিনি আরও বলেন, তারা বার বার নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছেন৷ গত কয়েক মাস ধরে জামায়াত যেসব সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছে, তাতে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায়৷ তবে তাঁর মতে, সরকার আন্তর্জাতিক চাপে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে৷ সরকার চাচ্ছে আদালতের মাধ্যমে জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে৷ আর এতে সরকার কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন শাহরিয়ার কবির৷
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে নাত্সিসহ ৪টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়৷ কিন্তু আদালতের আদেশের পর নাৎসি বাহিনীকে নিষিদ্ধ করা হয় নির্বাহী আদেশে৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশেও শেষ পর্যন্ত সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে, যদি সরকার চায়৷
তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতকে শুধু সন্ত্রাসী এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনই বলা হয়নি, জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে৷ আর তার ভিত্তিতে শাস্তি হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে৷ তাঁর মতে, এই আপিলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে৷
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্ট রায় দেয় গত ১লা আগস্ট৷ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জামায়াত৷