1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবনে ক্যারাভান ট্যুর থেকে রংপুরে অটোরিকশা

৩০ জুন ২০১১

সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে ইয়াবা, ফেনসিডিল ইত্যাদি কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাদক সেবনের প্রবণতা বৃদ্ধি৷ এ’ভাবেই একটা জাতির সমাজজীবনের ছবি ফুটে ওঠে তার গণমাধ্যমে৷

https://p.dw.com/p/11m8R
Kaptai Lake of Bangladesh, one and the bigest man made lake in Bangladesh. Located in Rangamati hill district. Kaptai Lake is a man-made lake in south-eastern Bangladesh. It is located in the Kaptai Upazila of Rangamati District of Chittagong Division. The lake was created as a result of building the Kaptai Dam on the Karnaphuli River, as part of the Karnaphuli Hydro-electric project. The Kaptai Lake's average depth is 100 feet (30 m) and maximum depth is 495 feet (151 m).
বাংলার অপরূপ শোভাছবি: DW

সুন্দরবন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে পয়লা নম্বরে৷ জনকণ্ঠ বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ একদিকে যেমন ভোটদানকে সফল করতে মোবাইল এসএমএস কার্যক্রম শুরু হয়েছে, অন্যদিকে তেমন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন স্বয়ং প্রচারণায় নেমেছে৷ মূল অস্ত্র হবে ৪০ দিনের একটি ক্যারাভান ট্যুর ফর সুন্দরবন৷ চলবে দু'টি পর্বে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অবধি৷ সঙ্গে রয়েছে বেঙ্গল ট্যুরস লিমিটেড৷

জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রীও এসেছিলেন৷ গোলাম মোহম্মদ কাদের বললেন, বিশ্বে বাংলাদেশের তেমন পরিচিতি নেই৷ দারিদ্র্য, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের দেশ হিসেবেই পরিচিত৷ এই প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন দেশকে পরিচিত করার একটা সুযোগ৷ তিনি নিজেও নাকি প্রথমে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেননি৷ পরে বুঝেছেন, সুন্দরবনের নামেই বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি পাবে৷

রংপুরে অটোরিকশার দাপট নিয়ে সমকালের প্রতিবেদন৷ সমস্যাটা এই: রংপুর বিভাগে হাজার হাজার লাইসেন্স-প্রাপ্ত এবং অননুমোদিত অটোরিকশা চলাচল করছে৷ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে লাইসেন্স লাগে কিনা, পুলিশও অনেক ক্ষেত্রে তা জানে না৷ অনভিজ্ঞ চালকদের কারণে দুর্ঘটনা তো ঘটছেই৷ সঙ্গে রয়েছে, প্রতিদিন ১২ লাখ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ খরচ হওয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে৷ এছাড়া বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়া খুঁটি থেকে তার টেনে ব্যাটারি চার্জ চলেছে, কাজেই রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে৷

ইয়াবা, ফেনসিডিল সত্ত্বেও ঢাকায় গাঁজাই এখনও মাদকের তালিকায় প্রথম অবস্থানে৷ ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রথম আলোকে তা'ই বলা হয়েছে৷ তবে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাদকের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি৷ গাঁজার পর আসছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও শিরায় গ্রহণ করার মতো বিভিন্ন ধরনের মাদক, যেমন লুপিজেসিক ও টিডিজেসিক ইনজেকশন৷

এই প্রবণতার কারণ দর্শিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর তাদের ‘আন্তর্জাতিক মাদক প্রতিবেদন ২০১০'-এ৷ ইউএনওডিসি বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি মাদকের উৎপাদন কমেছে৷ দ্বিতীয়ত, কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাদক সহজলভ্য উপাদান দিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা যায়৷

ওদিকে জীবনে গতির খোঁজে তরুণরা তাদের জীবন নষ্ট করছে এই সব উত্তেজক মাদকের ফাঁদে পা দিয়ে, বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই