1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খেলাধুলায় বিনিয়োগ

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২

এক কোটিরও কম মানুষের দেশ সুইডেন বছরে বিশ কোটি ইউরোর বেশি ব্যয় করে ক্রীড়া খাতে৷ কিন্তু সেটা অলিম্পিকে পদক জেতার আশায় নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের কল্যাণে৷

https://p.dw.com/p/13x84
Sweden's Josefine Oqvist and Japan's Azusa Iwashimizu compete for the ball during the semifinal match between Japan and Sweden at the Women’s Soccer World Cup in Frankfurt, Germany, Wednesday, July 13, 2011. (Foto:Matthias Schrader/AP/dapd)
প্রমীলা ফুটবল বিশ্বকাপে সুইডেন ও জাপানের মধ্যে খেলার একটি দৃশ্যছবি: dapd

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রী লেনা আডেলসন লিলিয়েরোথ রয়টার্স সংবাদ সংস্থার একটি সাক্ষাৎকারে ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ লিলিয়েরোথ জানান, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হল দেশের কিশোর-তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তোলা৷ তার ভাষ্যে সুইডেনের ক্রীড়া আন্দোলনের মূলমন্ত্রই ছিল তাই৷

সুইডেন বিশ্ব পর্যায়ের একাধিক খেলোয়াড় গড়ে তুলেছে, যেমন টেনিসে বিয়র্ন বিয়র্গ কিংবা স্টেফান এডবার্গ, বা ফুটবলে স্লাটান ইব্রাহিমোভিচ৷ ২০০০ এবং ২০০৪'এর অলিম্পিকে চারবার সোনা জিতেছে সুইডেন৷ কিন্তু ২০০৮'এর বেইজিং অলিম্পিকে একটিও সোনা পায়নি৷ এবং নামকরা ক্রীড়াবিদদের সোনা জেতায় আদৌ আপত্তি নেই ক্রীড়া মন্ত্রীর৷ ‘‘এলিট অ্যাথলিটরা মেডেল জিতলে অন্যরা, বিশেষ করে ছোটরা খেলাধুলায় অংশ নিতে উৎসাহিত বোধ করে,'' বললেন লিলিয়েরোথ, যিনি নিজেও দূরপাল্লার দৌড়ে অংশ নেন এবং রোজ সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসেন৷

অথচ সুইডিশ রাষ্ট্র প্রতিবছর যে ২০ কোটি অর্থ ঢেলে থাকে ক্রীড়া খাতে, তার অতি স্বল্পই যায় তথাকথিত ‘এলিট' প্রকল্পগুলিতে৷ আরো প্রায় ২০ কোটি ইউরো পরিমাণ অর্থ আসে নগর ও জেলা পরিষদগুলি থেকে৷ থাকে স্পনসররা এবং টেলিভিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ৷ কিন্তু এসব অর্থ ব্যয় হয় কিছুটা অন্যভাবে৷ একটা বিরাট অংশ যায় ‘স্পোর্টস লিফট' নামধারী একটি প্রকল্পে, যার কাজ হল কিশোর-কিশোরীরা ১৩-১৪ বছরের পরে যা'তে খেলাধুলো ছেড়ে না দেয়, তার ব্যবস্থা করা৷ এখানে বিশেষ নজর দেওয়া হয় বহিরাগত পরিবারগুলির মেয়েদের দিকে, কেননা তারা সাধারণত খেলাধুলার বিশেষ সুযোগ পায় না৷

কোন স্পোর্টসে টাকা ঢালা হবে, সে'ব্যাপারেও সুইডিশ সরকারের বক্তব্য: ফুটবল তো সবাই চেনে, সবাই খেলে৷ কিন্তু ক'জন ছেলেমেয়ে টেনিস, কি সাঁতার, কি ফেন্সিং পরখ করেছে? ফুটবল কি হকি ভালো না লাগলে, বাসকেটবল কি কানু চালানো ট্রাই করে দেখা যেতে পারে৷ আসল কথা হল, ছেলেমেয়েরা খেলছে, শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কিছু একটা করছে৷

সোনার মেডেলের চেয়ে যার দাম একটা জাতির কাছে অনেক বেশি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য