1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘সিলভার সার্ফার'': ইন্টারনেটের জগতে প্রবীণরাই কচিকাঁচা

৩১ আগস্ট ২০১১

প্রবীণরাই আজ ইন্টারনেটে নতুন করে ভিড় করছেন, সোশাল নেটওয়ার্কগুলোকে পুনরাবিষ্কার করছেন৷ জার্মানিতেও প্রবীণেরা ইন্টারনেটের ভক্ত শুধু একটি কারণেই: মানুষে মানুষে যোগাযোগ৷

https://p.dw.com/p/12Q3M
বয়সের সঙ্গে কৌতূহলের সম্পর্ক নেইছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

জার্মান টেলিভিশনের একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে: প্রবীণেরা সোশাল নেটওয়ার্কে খোঁজেন সঙ্গ, মানুষে মানুষের সঙ্গ, মানুষে মানুষে যোগাযোগ৷ যেমন কোলোনের ক্লাউস স্মলৎস৷ পুরনো মোডেমটি কবে ফেলে দিয়েছেন৷ এখন ইন্টারনেটে রুদ্ধশ্বাস গতিতে চলাফেরা তাঁর, ডিএসএল'এর কল্যাণে৷ স্মলৎস যে ইন্টারনেটে শুধু ই-মেল পাঠান কিংবা জিনিসপত্রের দর দেখেন, এমন নয়৷ ফেসবুকে তাঁকে পাওয়া যাবে৷ স্কাইপেও তিনি গল্পগুজব করে থাকেন৷ সোশাল নেটওয়ার্কগুলোর সর্বত্র বিচরণ করেন ৭১ বছর বয়সের এই অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ৷

Jung und Alt am Laptop
সব বয়সের মানুষই কম্পিউটার জগতের রোমাঞ্চ পেতে পারেনছবি: picture-alliance/ dpa

৬৫ বছর বয়সে একটি ল্যাপটপ যোগাড় করেছিলেন৷ তখন তাঁর কম্প্যুটার সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না৷ একটি কারখানার পরিচালক স্মলৎস কোনো পেশাগত তাড়নায় নতুন মিডিয়াগুলির সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করেননি৷ স্মলৎস বলেন: ‘‘শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে৷ আমি নিজেকে বলেছিলাম, তুই যদি তাল রেখে না চলিস, তাহলে তুই পিছিয়ে পড়বি৷ তাহলে তুই তোর নাতি-নাতনি, কমবয়সের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলবি, কেননা তুই তাদের ভাষা জানিস না, বলিস না৷''

Senioren am Computer
কম্পিউটারের সামনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাছবি: dpa zb

মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে৷ শরীরেও এটা সেটা ব্যায়রাম৷ তবুও ক্লাউস স্মলৎস বুড়িয়ে যেতে রাজি নন৷ তাঁকে সময়ের সাথে চলতে হবে, কেননা সময় বদলে গেছে, বলেন স্মলৎস৷ এককালে নাতি-নাতনিরা টেলিফোন করে জিগ্যেস করতো, কখন তারা দাদু-দিদিমা'র সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারে৷ এখন সেদিন গেছে৷ এখন নিজেকেই চাঙ্গা হয়ে উঠতে হবে, যেমন সোশাল নেটওয়ার্কে৷ হেনড্রিক স্পেক কাইজের্সলাউটের্নের টেকনিকাল কলেজে ডিজিটাল মিডিয়ার অধ্যাপক৷ তিনিও বলেন, তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই আরো বেশি সচল, আরো বেশি গতিশীল হয়ে উঠছে৷ নিজের সন্তান, কিংবা নাতি-নাতনিরা আর সারাজীবন একই জায়গায় থাকে না, একই কোম্পানিতে কাজ করে না৷ কাজেই বন্ধুবান্ধবদের চক্র বজায় রাখার একমাত্র পথ এবং পন্থা হল এই সব প্রযুক্তিগত মিডিয়া, বলেন স্পেক৷

Senioren sitzen vor einem Laptop
সোশাল নেটওয়ার্কের জগত থেকেও বঞ্চিত নন বয়স্করাছবি: Picture-Alliance/dpa

সত্যি কথা বলতে কি, জার্মানিতে ইন্টারনেটে প্রবীণদের উপস্থিতি এখনও তুলনামূলকভাবে কম, তবে তাদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ জার্মান টেলিভিশনের অনলাইন জরিপটি বলে, ২০১০ সালে ষাটের বেশি বয়সের প্রবীণদের মাত্র ২০ শতাংশকে ইন্টারনেটে পাওয়া যেতো৷ ২০১১'য় তাদের অনুপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ৷ শুধুমাত্র প্রবীণদের লক্ষ্য করে সৃষ্ট ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলির সংখ্যাও সেই অনুপাতে বাড়ছে৷ কিন্তু মজার কথা, প্রবীণরা এ'সব প্ল্যাটফর্মগুলির বিশেষ অনুরাগী নন৷ স্পেক বলেন: ‘‘প্রবীণরা যেমন বিরাট বড় বড় ডায়াল যুক্ত টেলিফোন পছন্দ করেন না - যদিও তা'তে তাদের টেলিফোন করতে সুবিধেই হতো - তেমনই তারা এই সব প্রবীণদের প্ল্যাটফর্মও পছন্দ করেন না৷ কেননা কেউই বয়স, মৃত্যু কিংবা রোগভোগের মতো বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে চায় না৷''

তার একমাত্র ব্যতিক্রম হল স্টেফ্রেন্ড্স নামের একটি পোর্টাল, যার কাজই হল স্কুলের, নিজের ক্লাসের বন্ধুবান্ধবদের খোঁজখবর রাখা৷ আমরা সকলেই কি সেটা চাই না?

প্রতিবেদন: আর্নে লিশটেনবের্গ/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য