1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলা

২৩ জুন ২০১৪

সিরিয়ায় দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেছে৷ এর মধ্যে এই প্রথমবার ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে সংঘাত৷ সিরিয়ার সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/1COEo
সিরিয়ার হামলায় ইসরায়েলের এক কিশোর নিহত হওয়ার পরই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলেরছবি: Reuters

সিরিয়ায় বিমান হামলা

ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান গোলান উপত্যকায় সিরিয়ার নয়টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে৷ রবিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সেখানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়৷ ওদিকে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের এক কিশোর নিহত হওয়ার পরই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷

সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘সিরিয়ার নয়টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷ রবিবার সিরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর গাড়িতে আঘাত করে৷ তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি৷ এরপরই ঐ কিশোর নিহত এবং আরো দুই ইসরায়েলি আহত হয় সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়৷''তিনি আরো জানান, সিরিয়ার সেনা সদরদপ্তর লক্ষ্য করে তারা এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে সিরিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷

কিশোরদের যুদ্ধে ব্যবহার

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাংশ ১৫ বছর বয়সি কিশোরদের যুদ্ধে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ কেবল সৈন্য হিসেবে নয়, স্নাইপার হিসেবেও তাদের কাজে লাগানো হচ্ছে৷ এমনকি আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে কিশোরদের৷ সোমবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ৩১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে৷

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মিসহ বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে এইসব কিশোরদের ব্যবহার করছে৷ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ছাড়া আছে দ্য ইসলামিক ফ্রন্ট এবং আল-কায়েদা সমর্থিত নুসরা ফ্রন্ট৷

তবে শুধুমাত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীই নয়, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তাবাহিনী – উভয়েই কিশোরদের ব্যবহার করছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটি লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা মোটাপার্থি৷ তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী শিশুদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ এমন শিশুদের ব্যবহার করছে যারা নিজেদের প্রিয়জনদের চোখের সামনে প্রাণ হারাতে দেখেছে৷ নিজেদের স্কুল, এমনকি ঘর-বাড়ি ধ্বংস হতে দেখেছে৷ এই বিষয়গুলো জেনে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷ আর শিশুদের রাখা হচ্ছে সামনে, ফলে যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে তারাই৷''

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নুসরা ফ্রন্ট এবং দ্য ইসলামিক স্টেট উভয়েই শিশুদের মিলিটারি ট্রেনিং দিচ্ছে৷ এমনই এক কিশোর যোদ্ধা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানায় কীভাবে আত্মঘাতী হামলায় এই যোদ্ধাদের উৎসাহিত করছে বিদ্রোহী গোষ্টীগুলো৷

তবে ঠিক কতজন শিশু কিশোর যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে – সেই সংখ্যাটা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি সংস্থাটি৷ ২৫ জন শিশু-কিশোর যোদ্ধার সাথে কথা বলে রিপোর্টটি তৈরি করা হয় বলে প্রকাশ৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য