1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়াকে আরব লিগ-এর চরমপত্র

১৭ নভেম্বর ২০১১

সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির যেমন অবনতি হচ্ছে, তেমনই বাড়ছে বাইরে থেকে চাপ৷ এমনকি রাশিয়া ও চীনের মতো মিত্র দেশও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রশাসনকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/13CUh
বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত সিরিয়ায়ছবি: picture-alliance/landov

এতদিন সরকারি বাহিনী দেশজুড়ে সরকার বিরোধীদের ভয় দেখিয়েছে, তাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে৷ কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভাঙন দেখা যাচ্ছে৷ তাদের অনেক সদস্যই বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে৷ ফলে বিরোধীরা এবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করার সাহস পাচ্ছে৷ গত কয়েক দিন ধরেই এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছিল৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার বিরোধীদের ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি' সরকারি দল বাথ পার্টির দপ্তরে হামলা চালানোর সাহস দেখিয়েছে৷ তারা তুরস্ক সীমান্তের কাছে ইদিব প্রদেশে রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে৷ এর আগে সেনাবাহিনীর হামলায় সেখানে এক শিশু সহ ৪ জন নিহত হয়৷ বুধবার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে হারাস্তা এলাকায় বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তরের এক ঘাঁটির উপরেও হামলা হয়েছিল৷ কুখ্যাত এই ইউনিটের ঘাঁটিতে অনেক বিরোধীদের আটক রাখা হয় বলে তার উপর হামলা অত্যন্ত ন্যায্য বলে দাবি করেছেন এক বিরোধী নেতা৷

সিরিয়ায় এমন অরাজকতার ফলে চরম উভয় সংকটে পড়েছে রাশিয়া৷ আসাদ প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে এতকাল মস্কো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়াকে আগলে রাখছিল৷ কিন্তু এখন বিরোধীরা প্রকাশ্যে রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর ফলে ভবিষ্যতে সিরিয়ায় নিজেদের স্বার্থ বজায় রাখতে মস্কো নতুন করে কৌশল স্থির করছে৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, গোটা বিশ্বের উচিত দুই পক্ষের উদ্দেশ্যে হিংসা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো৷ তাঁর মতে, পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের মতো হয়ে পড়েছে৷

বিরোধীদের এই পাল্টা হামলার কৌশলে বিস্মিত নয় ওয়াশিংটন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, অ্যামেরিকা বিরোধীদের পাল্টা হামলাকে উৎসাহ না দিলেও আসাদ প্রশাসন যেভাবে কড়া দমন নীতি চালিয়ে যাচ্ছে, তার ফলে সেদেশ বিপজ্জনক পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ অহিংস আন্দোলনে কাজ না হওয়ায় বিরোধীরাও পাল্টা আঘাত করতে কার্যত বাধ্য হয়েছে৷

আরব লিগও সিরিয়ার উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে৷ আসাদ প্রশাসনকে দমন নীতি দ্রুত বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ স্থির করে দিয়েছে এই রাষ্ট্রজোট৷ সেদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানোরও চেষ্টা চলছে৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সিরিয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের নিষ্ক্রীয়তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, সিরিয়া যদি লিবিয়ার মতো তেল সমৃদ্ধ দেশ হতো, তাহলে আজ আসাদ প্রশাসন নির্বিঘ্নে এমন দমন নীতি চালিয়ে যেতে পারতো না৷ এদিকে তুরস্কে নির্বাসিত সিরিয়ার ‘মুসলিম ব্রাদারহুড' গোষ্ঠীর এক নেতা বলেছেন, তুরস্ক সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করলে সিরিয়ার মানুষ তাকে সমর্থন করবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য