1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিমেন্সের ঘুষের টাকা সম্ভবত জেএমবির হাতেই গেছে: ডেয়ার স্পিগেল

৬ জুলাই ২০০৯

জার্মানির বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স কীভাবে বাংলাদেশেও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইন্ধন যুগিয়েছে, তার উপর আলোকপাত করেছে সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল’ পত্রিকা৷

https://p.dw.com/p/Ihr9
ছবি: DW

চলতি বছরের বিডিআর বিদ্রোহ, ২০০৭ সালে জেএমবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক বলে পরিচিত প্রাক্তন মন্ত্রী আমিনুল হকের কারাদণ্ড এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশে মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বরাত সিমেন্সের ঝুলিতে যাওয়া – এই তিনটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে ঐ পত্রিকা দুর্নীতির ক্ষেত্রে সিমেন্সের ভূমিকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার কিছু নমুনা তুলে ধরেছে৷ বিডিআর বিদ্রোহের ক্ষেত্রে জেএমবি'র কোনো ভূমিকা ছিল কি না এবং সিমেন্সের দেওয়া ঘুষের টাকা আমিনুল হকের মাধ্যমে জেএমবি'র কাছে পৌঁছেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বাংলাদেশে পৃথক তদন্ত চলছে৷

এই তিনটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র যদি শেষপর্যন্ত প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে সিমেন্সের বিতর্কিত ভাবমূর্তি আরও কলুষিত হবে৷ এতকাল প্রতিযোগিতার পরোয়া না করে ঘুষ দিয়ে দরপত্র আদায় করা বা তৃতীয় বিশ্বে স্বৈরতান্ত্রিক শাসকদের পকেট ভারি করার মত অভিযোগ প্রায়ই শোনা যেত৷ এবার ইসলামী মৌলবাদের মদতদাতা হিসেবও সিমেন্সের নাম উঠে আসতে পারে৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে সিমেন্স বলতে পারে, ঐ অর্থের এমন ব্যবহার হবে তা তাদের জানা ছিল না বা অর্থ দেওয়ার আগে তারা মোটেই ভেবে দেখে নি, তার পরিণতি কী হতে পারে৷ অতীতে নাইজেরিয়ায় প্রভাবশালী আবাচা পরিবার ও রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফাপ্সি'কে ঘুষ দেওয়ার সময়েও সিমেন্স ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করে নি, যে সেই অর্থ কীভাবে কাজে লাগানো হবে৷

‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার মতে, সিমেন্স যে বাংলাদেশেও ঘুষ দিয়েছে, তা মোটেই অবাক করার মত কোনো ঘটনা নয়৷ এই ঘুষ কেলেঙ্কারির আগেও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ও সংস্থা হিসেবে সিমেন্স দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকার শীর্ষ স্তরে ছিল৷ ২০০০ সালে বাংলাদেশে মোবাইল টেলিফোন পরিষেবার সম্প্রসারণের দায়িত্ব পেতে ঘুষ দেওয়ার পক্ষে সংস্থার এক ম্যানেজার বলেছিলেন, দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেতে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গঠিত কমিটিতে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে এবং প্রতিযোগীদের দুর্বল করতে এছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না৷ কিন্তু এত করেও সেযাত্রায় শেষরক্ষা হয় নি৷ সিমেন্স ঐ কাজের বরাত পায় নি৷ ঐ সিদ্ধান্তের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হকের বন্ধু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি সিমেন্সের কাছে ঘুষ চেয়ে বসেন৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল' বাকি ঘটনারও দীর্ঘ বৃত্তান্ত তুলে ধরে সন্দেহ আরও পাকা করেছে, যে সিমেন্সের টাকা আমিনুল হকের মাধ্যমে জেএমবির কাছেই পৌঁছেছে৷

প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক