1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন মিলনের রেকর্ড

সাগর সরওয়ার৩০ নভেম্বর ২০১০

পরপুরুষ কিংবা পরনারীর সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার রগরগে কাহিনি নিয়ে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোকে সরব হতে দেখা যায়৷

https://p.dw.com/p/QLiL
Symbolbild - Ein Liebespaar im Bett
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/bonninturina

তবে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই যখন জেনেশুনে দিনের পর দিন অন্যের সঙ্গে যৌন মিলন করেন এবং নিজেদেরকে ‘সুখি জুটি' বলে পরিচয় দেন, তখন সে সংবাদ নিশ্চয়ই অনেক বেশি চাঞ্চল্যকর৷

লন্ডনের স্যারা মুর এবং জেফ ড্যানিয়েল তাই সংবাদ শিরনামে৷ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সান জানিয়েছে, ২০ বছর ধরে চলছে অবিবাহিত এই জুটির সংসার৷ দু'জন এই সময়ের মধ্যে নাকি ৫ হাজার ৪৮৫ জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছে৷

আদতে এই দুজনই পেশায় সেক্স থেরাপিস্ট৷ নিয়ম অনুসারে এ নিয়ে যদি কেউ কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে তারা এই থেরাপিস্টদের কাছে আসবে, তারা পরামর্শ দেবে৷ প্রয়োজনে ‘কী করিলে কী হয়' জাতীয় কথাবার্তা জানাবেন৷ কিন্তু স্যারা মুর এবং ড্যানিয়েল ভিন্ন কাজ করেন৷ তারা একটু ‘বিশেষ' বলে চিকিৎসকরা তাদের কাছে রোগীদের পাঠান৷ এবং বেশিরভাই সময় ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গে বিছানায় যেতে হয় তাদের৷

স্যারা মুর ১৯ বছরে ৩ হাজার ৩২৩ জন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছেন৷ আর এদের মধ্যে ৫২ জন ছিল কৌমার্য হারায়নি এমন পুরুষ৷ আর স্যারার দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড ড্যানিয়েল, যার বয়স ৪০, তিনি বিছানায় গিয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন নারীর সঙ্গে৷ আর তিনি ৪৯ জন নারীর কৌমার্য ভাঙাতে সহায়তা করেছেন৷ স্যারা মুর বললেন, ‘বিষয়টিকে আমরা কেবল সাহায্য বলেই মনে করছি৷ এটাকে কোনভাবেই গণিকা পেশা বলে মনে করি না আমরা৷ তিনি বলেন, সমস্যায় পড়া মানুষকে সহায়তা করা হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শে৷ এ থেকে আমাদের রোজগারও বেশ৷ আমাদের সঙ্গে মিলনের পর স্বভাতই সেই পুরুষ কিংবা মহিলা যৌনভীতি থেকে মুক্তি পান৷'

১৫ বছর বয়সে নিজের কুমারীত্ব হারান মুর৷ ২০ বছর বয়সে তার পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে৷ সেই থেকে তারা একসঙ্গে আছেন৷ আর তখন থেকেই তারা এই পেশাতেই রয়েছেন৷