1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সালাফিদের সঙ্গে কফিপান, কেমন সেটা?

নাওমি কনরাড/এসি১৫ জানুয়ারি ২০১৩

জার্মান গুপ্তচর বিভাগ জার্মানিতে উগ্রপন্থি সালাফিদের একটা বিপদ বলে মনে করে৷ ওদিকে বন শহর আবার ঐ সালাফিদের একটা বড় ঘাঁটি বলে গণ্য? কিন্তু কে বা কারা এই সালাফিরা?

https://p.dw.com/p/17KMv
Islamische Fundamentalisten demonstrieren am Dienstag (01.05.2012) in Solingen gegen eine Veranstaltung von Pro NRW. Angehörige der islamischen Salifisten hatten während einer Demonstration gegen die rechtsextreme Splitterpartei Pro NRW die Polizei angegriffen. Drei Polizisten wurden verletzt. Foto: Melanie Dittmer dpa/lnw (zu dpa "Rechtsextreme provozieren - Salafisten greifen Polizei an" vom 01.05.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বন শহরের সালাফিদের খোঁজে নাওমি যান একটি পেট্রোল পাম্পে৷ গেছেন দুই সালাফি মাওলানার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের আসায়৷ বিকেল পাঁচটা নাগাদ বছর বিশেকের এক তরুণ আবির্ভূত হয়ে হেসে বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা উগ্রপন্থি৷'' তবে করমর্দন করলেন না৷ বললেন: ‘‘বুঝতেই পারছেন, কেন৷''

তরুণটি জানালেন, তিনি মাওলানাদের সঙ্গে নাওমির আলাপ-আলোচনার ভিডিও তুলবেন৷ সেটা নাকি দু'পক্ষের জন্যই বেশি নিরাপদ৷ নাওমি ছবিতে থাকতে চাইবেন কিনা, তা-ও জিজ্ঞাসা করে নিলেন৷ মাওলানারা স্বয়ং বসে ছিলেন পেট্রোল পাম্পের উল্টোদিকে একটি কাফেতে৷ সেখানে তুর্কি গান বাজছে৷ অপেক্ষাকৃত বয়স্ক মাওলানা, ইব্রাহিম আবু নাগি, তাঁর কফিতে চামচ নাড়ছেন৷ তরুণ মাওলানা আবু দুয়ানা, তাঁর সাদা আইফোন নিয়ে ব্যস্ত৷

আবু নাগি সালাফি ধর্মাদর্শকে বলেন ‘‘সত্যকারের ইসলাম'', কিন্তু নিজেকে বলেন, একজন মুসলিম৷ বলেন না, ‘‘আমি সালাফি''৷ ওটা নাকি মুসলিমদের বিভক্ত করার জন্য গণমাধ্যম এবং রাজনীতির সৃষ্টি৷ তার পিছনে ‘‘জিওনিস্টদেরও'' দেখেন আবু দুয়ানা, যার পরের মন্তব্য: ‘‘এবার তো নিশ্চয় শরিয়া নিয়ে প্রশ্ন করবেন?'' আবু দুয়ানা স্বয়ং বিশ্বদ্যালয়ের ছাত্র৷ জার্মানিতে শরিয়া আইন চালু করতে পারলে ভালো হতো বলছেন, কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়, তা'ও জানেন৷

Bonn Pro NRW Salafisten Ausschreitungen
বন শহরে সালাফি জমায়েত, যা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন...ছবি: picture-alliance/dpa

দুই মাওলানার পরিচয় হয় আট বছর আগে কোলোনের কাছে ফ্রেশেন-এর একটি মসজিদে৷ আট বছর ধরে প্রচারণার কাজে ব্যস্ত দু'জন৷ ওয়াজ করেন কিন্তু জার্মানে, সেটাই নতুনত্ব৷ সেটাই জার্মানিতে মানুষকে টানে৷ সিডি থেকে ইন্টারনেট থেকে সেমিনার, সব পন্থাই ব্যবহার কে থাকেন তারা৷ সহিংসতা-প্রবণ সালাফিদের সঙ্গে তারা নাকি কথা বলে থাকেন৷ তবে রাজনীতিকদের সঙ্গে তারা কথা বলতে রাজি নন, আবু নাগি তো নয়ই৷

যদি না ম্যার্কেল মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন৷ যেমন গুপ্তচর বিভাগের লোকজন তার টেলিফোনে আড়ি পাতে: ‘‘নিশ্চয় তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে মুসলমান হয়ে গেছে,'' রসিকতা করলেন নাগি৷

জার্মানিতে সালাফিদের সংখ্যা হাজার চারেক বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ তাদের মধ্যে সহিংসতায় বিশ্বাসীদের সংখ্যা নগণ্য হলেও, সালাফি থেকে জিহাদি হতে বেশি সময় লাগে না, বলে গুপ্তচর বিভাগের ধারণা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য