1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ উদ্বিগ্ন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ ২০ দলীয় জোট সরকার বিরোধী কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আরো তীব্র করার ঘোষণা দিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহিংসতা বন্ধ এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর সংলাপের তাগিদ দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1EKxK
বাংলাদেশে সহিংসতার ফলে আন্তর্জাতিক স্তরেও উদ্বেগ বাড়ছেছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah

বৃহস্পতিবার অবরোধের দশম দিনে যোগ হয়েছে সকাল সন্ধ্যা- হরতাল৷ ২০ দলীয় জোটের এই কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়েছে৷ গাড়িতে আগুন এবং পেট্রোল বোমায় অন্তত দু'জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ এ নিয়ে গত ১০ দিনে ২২ জন নিহত হলেন ৷ পোড়ানো হয়েছে দুই শতাধিক যানবাহন৷

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘‘হরতালে নামে এখন যেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস৷ এগুলো মোকাবিলায় সন্ত্রাস দমন আইন আছে৷ এখন এ আইন প্রয়োগ করা হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘যে আইনে জনগণের সম্পৃক্ততা রয়েছে, সে আইন করা হয়৷ হরতাল বন্ধের জন দাবি উঠলে এ বিষয়েও আইন করা হবে৷''

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘‘জানমালের নিরাপত্তায় বিজিবি সদস্যরা অবশ্যই অস্ত্র ব্যবহার করবেন৷'' বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘‘কেউ পেট্রোল বোমা ব্যবহারের চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা বসে থাকবেন না৷ জানমালের নিরাপত্তায় তারা তখন অবশ্যই অস্ত্র ব্যবহার করবেন৷''

Bangladesch Khaleda Zia vor dem Gericht in Dhaka
বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট সরকার বিরোধী কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেছবি: M. Uz Zaman/AFP/Getty Images

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অবশ্য সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন৷ তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কোনো বর্বরোচিত আক্রমণই আমাদের চলমান আন্দোলন স্তব্ধ করতে পারবে না সরকার৷ বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে৷''

রিজভী দাবি করেন, ‘‘চলমান আন্দোলন দমন করতে না পেরে সরকার নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাচ্ছে৷ অমানবিক নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও জনগণ তা কখনোই বিশ্বাস করবে না৷''

অন্যদিকে বাংলাদেশে সংঘাতময় ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি' এবং ‘গণতন্ত্র চর্চার স্থান সঙ্কুচিত হওয়া'য় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাংলাদেশে থাকা মিশন প্রধানরা৷ বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা ওই উদ্বেগ প্রকাশকরেন৷ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ইইউ দূতরা দেশব্যাপী চলমান সহিংসতায় মৃত্যু ও আহত হওয়া, সহায়-সম্পত্তি ধ্বংস করা এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার নিন্দা জানান৷ দুঃখ প্রকাশ করেন রংপুরে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের আক্রমণের ঘটনায়৷ ইউরোপের ২৮ রাষ্ট্রের ওই জোটের বাংলাদেশস্থ ডেলিগেশন প্রধানের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে জানিয়ে ইইউ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়৷ গণতন্ত্র চর্চার স্থান সঙ্কুচিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মিশন প্রধানরা৷ তাঁরা বলেছেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে মুক্ত মত প্রকাশের অধিকার, আন্দোলন ও সমাবেশের পথ রুদ্ধ করা উচিত হবে না৷ দূতরা সহিংসতা পরিহার এবং প্রকৃত সংলাপের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন৷ তাঁরা সহিংসতা বন্ধ এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন৷

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ দূতদের সঙ্গে মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের বিষয়ে অবহিত করা হয়৷ এতে কূটনীতিকদের সঙ্গে মন্ত্রীর নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে ব্রিফিংটি আয়োজন করা হয় বলে জানানো হয়৷ সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাস্থ ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ বিশেষত জীবন নাশের ঘটনাগুলোর বিষয়ে৷ সহিংসতা দমনেরও আহ্বান জানান তিনি৷ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপে বিএনপি নেতা সাবেক রাষ্ট্রদূত রিয়াজ রহমানের ওপর গুলির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ ওই ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করতে সরকার এই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ কূটনীতিকদের তিনি বলেছেন, রিয়াজ রহমান কিংবা তার পরিবারের কোনো সদস্য এ নিয়ে কোন মামলা করেননি৷ এ অবস্থায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য