1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩ মে ২০১৩

চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের জেলে আটক ভারতীয় বন্দি সরবজিত সিং-এর মৃত্যুকে ঘিরে সংসদের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷ দাবি ওঠে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করারও৷

https://p.dw.com/p/18Qmb
ছবি: picture-alliance/dpa

লাহোরের কোট লাখপত জেলে অন্যান্য কয়েদিদের হামলায় গুরুতর আহত ভারতীয় বন্দি সরবজিত সিংকে বাঁচানো গেল না৷ লাহোরের জিন্না হাসপাতালে সাত দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর, বুধবার মধ্যরাত্রে তিনি মারা যান৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর মরদেহ বিশেষ বিমানে ভারতে আনা হয়৷ সরবজিতের ওপর ‘বর্বরোচিত' হামলার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন৷ যারা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদেরকে কড়া শাস্তি দিতে পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করেন তিনি৷

রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, যার আঁচ পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর৷ পাকিস্তানের এই ধরণের অমানবিক আচরণের ঘটনা এই প্রথম নয়৷ ভারতীয় বন্দিদের ওপর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, এমনটাই অভিযোগ৷ ইতিমধ্যেই কেউ কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলছে৷ তাঁরা এটাকে ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা' বলে মনে করছেন৷

প্রধানমন্ত্রীর দায়বদ্ধতা এবং ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, এই ঘটনায় দু'দেশের মানুষে-মানুষে যোগাযোগ ব্যাহত হবে, আঘাত আসবে দু'দেশের সার্বিক সম্পর্কের ওপর৷ ভারত সরকার বন্দিদের ওপর নৃশংসতার  বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সামনে রাখবে বলে জানা গেছে৷

এদিকে, পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ জেল কর্তৃপক্ষ নাকি জানতেন এই ধরণের হামলা হতে পারে সরবজিতের ওপর, বিশেষ করে ভারতীয় সংসদে হামলার প্রধান আসামী আফজল গুরুর ফাঁসি হওয়ার পর থেকে৷ পাকিস্তানের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী আন্সার বার্নিও সেকথা স্বীকার করেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে৷ 

তা সত্ত্বেও জেল প্রশাসন উপযুক্ত নিরাপত্তা দেয়নি৷ দ্বিতীয়ত, ফাঁসির আসামী হিসেবে সরবজিতকে রাখা হয়েছিল নির্জন সেলে৷ সেখানে অন্য কারোর প্রবেশাধিকার থাকে না৷ সর্বোপরি, হামলার সময় জেল রক্ষীরা ছুটে আসেনি কেন? জানা গেছে, ইঁট দিয়ে সরবজিতের মাথায় আঘাত করা হয়৷ সেই আঘাতের কারণেই সরবজিত কোমায় চলে যান৷ এবং পরে তাতেই তিনি মারা যান৷ পাকিস্তান সরকার অবশ্য এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছে৷

লাহোর ও মুলতানে বিস্ফোরণ কাণ্ডের ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত সরবজিতের ফাঁসির আদেশ হয় ১৯৯১ সালে৷ ঐ বিস্ফোরণে মারা যায় ১৪ জন৷ ফাঁসির আদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রাণভিক্ষার আবেদনও নামঞ্জুর হয়৷ এরপর, পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকার এসে ফাঁসি কার্যকর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখেন৷ সরবজিতকে ভারতে ফিরিয়ে আনার বহু চেষ্টা হয়৷ কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য