1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিছু হটছে সরকার?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ আগস্ট ২০১৪

সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে শাসকদলের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে এবং তার বহিঃপ্রকাশও ঘটছে৷ তথ্যমন্ত্রণালয় বলেছে যে, সম্প্রচার নীতিমালা নির্দেশনামূলক, এটা কোনো আইন নয়৷ তাই সম্প্রচার কমিশনই নীতিমালা আইনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে৷

https://p.dw.com/p/1CsTD
Symbolbild Europäischer Gerichtshof Übertragungsrechte Fußballspiele
ছবি: picture-alliance/dpa

গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া সম্প্রচার নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয় দ্রুতই৷ তাতে বলা হয় যে, সম্প্রচার নীতিমালা কমিশন হওয়ার আগ পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে৷ তার লক্ষণও দেখা দিয়েছিল৷ আদিবাসী দিবসে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরামর্শ দেয়া হয় যে, ‘আদিবাসী' শব্দটি লেখা বা প্রচার করা যাবে না, বলতে হবে উপজাতি৷ কিন্তু সেই পরামর্শকে আমলে নেয়নি সংবাদমাধ্যম৷

এরইমধ্যে এই নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে৷ সাংবাদিক নেতারা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হলেও সরকার ঘোষিত সম্প্রচার নীতিমালার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷ ওদিকে বিরোধী দল বিএনপি এই নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নীতিমালার প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে৷

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার বলেছেন, ‘‘সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আমার ভয় হয়৷ এটা খুব ভালো কাজ হলেও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিতে এটা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে আরও ভাবতে হবে৷ এটা নিয়ে দলমত নির্বিশেষ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে৷ সরকারকে বলবো, লেখা হয়ে গেছে – এটাই তো শেষ কথা নয়৷ সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ আছে৷ এ জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার৷ কমিশন হলে এটা অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে৷''

একই অনুষ্ঠানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘মন্ত্রী হলে সংযমী হতে হবে৷ চট করে উত্তেজিত হলে চলবে না৷ আগের দিন গালমন্দ, করে পরের দিন ক্ষমা চাইলে হবে না৷ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ৷ তাই এটাকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না৷''

এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘‘সম্প্রচার নীতিমালা দিক-নির্দেশনামূলক৷ এর আলোকে প্রণিতব্য আইন দ্বারা গঠিত কমিশন সম্প্রচার মাধ্যম সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করবে৷ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচলিত আইনই প্রযোজ্য হবে৷''

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সম্প্রচার নীতিমালা কোনো ‍আইন নয়৷ এতে শাস্তির কোনো বিধান নেই৷ তাই কণ্ঠরোধের বিষয়টি সম্পূর্ণ অমূলক ও কল্পণাপ্রসূত৷'' তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ করা হয়েছে, এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের ওপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ বাড়বে৷ এ অভিযোগ অমূলক৷''

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘‘বরং এ নীতিমালার মাধ্যমে সম্প্রচার মাধ্যমের ওপর থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গুটিয়ে নিয়ে কমিশনের হাতে অর্পণের নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে৷ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কথা বলা হলেও বাস্তবতা হলো, ক্ষমতার হাত গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য