1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমাজসেবী আন্না হাজারের আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন

৬ এপ্রিল ২০১১

জনজীবন থেকে দুর্নীতি দূর করার লক্ষ্যে লোকপাল বিলে সুশীল সমাজের পঞ্চাশ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব থাকার দাবিতে বিশিষ্ট সমাজসেবী আন্না হাজারের আমরণ অনশনের আজ দ্বিতীয় দিন৷

https://p.dw.com/p/10oTt
ছবি: picture alliance/dpa

৭২ বছর বয়সী সমাজসেবী ও গান্ধীবাদী আন্না হাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রণয়নের দাবিতে নতুনদিল্লিতে সংসদভবনের অদূরে গতকাল থেকে শুরু করেছেন আমরণ অনশন৷এই আন্দোলনের প্রতি ক্রমশই বাড়ছে জন সমর্থন৷ বিশেষ করে এগিয়ে এসেছে যুব সমাজ৷ সেটা দেখে আজ অনশন মঞ্চ থেকে আন্না হাজারে বলেন, যুবশক্তিকে পাশে পাওয়ায় এই আন্দোলন পেয়েছে এক নতুন মাত্রা৷ এটা কার্যত দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ৷ উল্লেখ্য, আন্না হাজারের সঙ্গে একাত্মতা জ্ঞাপনে তাঁর সঙ্গে অনশনে বসেছেন আরো দেড়শো জন সমর্থক৷

দেশের ৪০০টি শহরে এমন কী বিদেশেও শুরু হয়েছে অনুরূপ আন্দোলন৷ মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী সংসদে জন-লোকপাল বিল পাশ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পোষ্টকার্ডে চিঠি লিখে পাঠিয়েছে৷ লক্ষ্ণৌ-এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর৷ মুম্বাই-এর আজাদ ময়দানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সামিল হয় হাজার হাজার মানুষ৷

আন্না হাজারে এই আন্দোলন অ-রাজনৈতিক বলা সত্বেও বিজেপি ও জেডি-ইউ নেতারা তাঁর প্রতি সমর্থন জানাতে আন্না হাজারের অনশন মঞ্চে বসতে চাইলে তিনি রাজি হননি৷ বলেছেন রাজনীতিকদের বিশ্বাস করা কঠিন৷ দেশে দুর্নীতি যেভাবে বাড়ছে তা রোধ করতে কার্যকর কোন ব্যবস্থা এপর্যন্ত কেউ নেয়নি৷ কংগ্রেসের সমালোচনা করে আন্না হাজারে বলেন, জন- লোকপাল বিল সম্পর্কে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস৷ ঐ বিল পাশ হলে রাজনীতিক,আমলা, সাংসদ সবাই এর আওতায় আসবে, যেটা সরকারের রচিত লোকপাল বিলে নেই৷

কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারির মতে, সুশীল সমাজের সুপারিশ প্রস্তাবিত বিলে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ আছে৷ সেক্ষেত্রে এই অনশন অহেতুক৷ অপর কংগ্রেস নেত্রী জয়ন্তী নটরাজন বলেন, লোকপাল বিল নিয়ে নানা মত আছে৷ ঐকমত্যে আসতে ব্যাপক আলোচনা দরকার৷ তারজন্য যে সময় দরকার, তার সীমা বেঁধে দেয়া যায় না৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত সাব-কমিটি যখন এই ইস্যু খতিয়ে দেখছেন, তখন এই অনশনের দরকার ছিল না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী