সব ফোনের জন্য এক চার্জার
৩০ জুন ২০০৯ইউরোপীয় কমিশন বলছে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোমবার এবিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷
এনা গেল্ তিন দিন বাসার বাইরে৷ সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকলেও তা বন্ধ ৷ কারণ চার্জ নেই৷ আর তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বের হবার সময় চার্জার নিতেও ভুলে গেছে সে৷ হাতের কাছে বন্ধু বান্ধব সবার মোবাইল থাকলেও তাদের চার্জার সে ব্যবহার করতে পারছেনা৷ কারণ তাদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন মডেল এবং কোম্পানির চার্জার৷ এ সমস্যা তার একার নয়৷ আরো অনেকের৷ আর তাই সমস্যা সমাধানের জন্য ইউরোপের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো এগিয়ে এসেছে৷
বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত কোম্পানি গুলোর মধ্যে নোকিয়া, মোটরলা, স্যামসুং, সনি এরিকসন বা এ্যাপেল সবাই রয়েছে চুক্তির নামের তালিকায়৷ কোম্পানিগুলো বলছে, মোবাইল ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বর্তমান পৃথিবীতে কঠিন৷ বলা চলে মোবাইল হচ্ছে নিজের ছাঁয়া৷ সব সময় সাথে সাথে চলে৷ কেউ কেউ আবার বিভিন্ন কোম্পানির নানা লোভনীয় অফারস গ্রহণ করে কম দামে কয়েকটি ফোন ব্যবহার করেন৷ কিন্তু সমস্যা হয় একটিই ৷ তা হচ্ছে এক ফোনের চার্জার অন্য ফোনে ব্যবহার করা যায় না৷ তাই অনেকেই অসুবিধায় পড়েন৷ আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য এই ধরণের চুক্তি৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিল্প বিষয়ক কমিশনার গুন্টার ফ্যারহয়গেন বলছেন, এধরণে চার্জার শুধু নতুন তৈরি হওয়া মোবাইল ফোনগুলোতে থাকবেনা৷পুরোন সব মোবইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরাতেও যেনো একই ধরণের চার্জার ব্যবাহার করা যায় তারই পরিক্ল্পনা রয়েছে তাদের৷
এদিকে মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মাইক্রো ইউএসবি প্লাগ ব্যবহার করবে নতুন ফোন তৈরির জন্য ৷এই ধরণের চার্জার একদিকে যেমন ক্রেতাদের বাড়তি ঝামেলার হাত থেকে বাচাঁবে তেমনি পাশাপাশি নির্মাতারা চার্জার তৈরির ক্ষেত্রে বিশাল অংকের টাকা বাচাঁতে পারবে৷ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বলছে, তারা এই ধরণের অভিন্ন চার্জার তৈরি করতে পারলে উতপাদিত চার্জারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে৷
বর্তমানে ইউরোপকে বিশ্বের সর্বাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী দেশ হিসাবে ধরা হয়, যার সংখ্যা ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন৷ কোম্পানিগুলো হিসাব মতে, প্রতি বছর মোবাইল বিক্রি হয় ১৮৫ মিলিয়ন৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক