1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম হিসাবে নতুন রেকর্ড গড়লো পিকাসোর সৃষ্টি

৫ মে ২০১০

চিত্রকর্মটির ইংরেজি নাম ‘‘নুড, গ্রিন লিভস অ্যান্ড বাস্ট''৷ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান চিত্রকর, ভাস্কর পাবলো পিকাসো ১৯৩২ সালে ছবিটি এঁকেছিলেন৷ কিন্তু এর আগে, ছবিটি সর্বসমক্ষে আসেনি৷

https://p.dw.com/p/NEq4

আদতে চিত্রকর্মটি এতোদিন শোভা পাচ্ছিল বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্ম সংগ্রাহক এবং পৃষ্ঠপোষক লস এঞ্জেলেসের ফ্রান্সিস এবং সিডনি ব্রডির সংগ্রহশালায়৷ পঞ্চাশ বছর ধরে এই ছবি তাই ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালেই৷ কিন্তু গত মঙ্গলবার, নিউ ইয়র্কের অকশান-হাউস ‘ক্রিস্টি'-তে প্রদর্শনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিলামে বিক্রি হয়ে যায় ছবিটি৷ প্রায় ১০ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারে যা কিনে নেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি৷ টেলিফোনের মাধ্যমেই এই বিশাল অঙ্কের দর হাঁকেন তিনি৷

পিকাসোর অন্যতম সঙ্গিনী এবং তাঁর চিত্রকর্মের একজন নিয়মিত বিষয় মারি-থেরেস ভাল্টার-এর এই বিশালাকায় প্রতিকৃতি চিত্রকলার ইতিহাসে সত্যিই অনন্য কাজ৷ জীবনী শক্তিতে ভরপুর এই চিত্রকর্ম দেখলে যেন শিল্পীর জীবনের অনেকটা কাছে পৌঁছনো যায়৷ উপলব্ধি করা যায় মেরির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন৷ স্বাভাবিকভাবেই, ইমপ্রেশেনিস্ট এবং আধুনিক চিত্রশিল্পের এটি এক অপূর্ব নিদর্শন৷ তাই অ্যামেরাকায় ‘ক্রিস্টিস' অকশান-হাউসের প্রধান ক্রিস্টফার বার্জ জানান, ‘‘এতে আমি অত্যন্ত উল্লসিত৷''

এ শতাব্দীর শিল্পকলার সঙ্গে স্প্যানিশ চিত্রকর পাবলো পিকাসোর নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত৷ শিল্পের বিচিত্র সব মাধ্যমে তিনি সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে বিশ্বের চারু ও কারুকলাকে সমৃদ্ধ করেন৷ প্রসঙ্গত এর আগে, দামি চিত্রকর্মের রেকর্ডটিও ছিল পিকাসোর দখলে৷

তবে এখানেই শেষ নয়৷ ক্রিস্টফার বার্জ জানান, এ দিন প্রায় ৬৯টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়৷ যার মধ্যে ৮০ শতাংশই বিক্রি হয়ে যায়৷ এবং প্রত্যেকটির জন্য বিডিং চলে চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত৷ যেমন, পিকাসোর ‘‘নুড, গ্রিন লিভস অ্যান্ড বাস্ট''-এর পাশাপাশি জর্জ ব্রাক-এর ‘‘লা ট্রেইএ'' ছবিটি বিক্রি হয় ১০,১৬২,৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে৷ এছাড়া, বিক্রি হয় জিয়াকোমেত্তির-এর তিন-তিনটি ব্রোন্জের ভাস্কর্য৷ যথাক্রমে ৫৫.৩, ২৫.৮৪ এবং ২০.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে৷ তবে অবিক্রিত থেকে যায় এডভার্ড মুন্খ'এর ‘ফার্টিলিটি' চিত্রকর্মটি৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক