1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সকলের সহযোগিতায় দেশের উন্নতি চান শাহ নেওয়াজ

৩ আগস্ট ২০১১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল শিক্ষার্থীরা৷ সেই শিক্ষার্থীদেরই একজন মো. আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ৷ একাত্তরে শাহ নেওয়াজ ছিলেন শিক্ষার্থী৷ দেশের চলমান ঘটনা সম্পর্কে সজাগ ছিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/129sk
ছবি: bdnews24.com

সত্তরে ছাত্র হিসেবেই সেনা প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল শাহ নেওয়াজ এর৷ মানসিকভাবে তাই যুদ্ধের জন্য একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন ফরিদপুরের এই তরুণ৷ এরপর একাত্তরের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার ঢাকা আক্রমণ করে, তখন অস্ত্র তুলে নেন শাহ নেওয়াজরা৷

ফরিদপুরে পাক বাহিনী

একাত্তরের ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে৷ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই শহরটি দখলে রাখা পাক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ শাহ নেওয়াজরা বুঝতে পারেন, সংগঠিত শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়তে গেলে আরো সেনা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন৷ তাই, গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে পাড়ি জমান তারা৷ ২৮দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন বিহারের একটি কেন্দ্রে৷

গেরিলা হামলা

গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসেন শাহ নেওয়াজ৷ এরপর ছোট ছোট গেরিলা আক্রমণ চালিয়ে শত্রুপক্ষকে তটস্থ রাখতেন তারা৷ ডিসেম্বরে শুরু হল চূড়ান্ত লড়াই৷ যশোরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এলাকা থেকে পাক সেনারা ফিরতে চাইলো ঢাকায়৷ এজন্য সবাই জড়ো হতে থাকে ফরিদপুরের পদ্মা নদীর পাড়ে৷ এই সুযোগে পাক বাহিনীকে আক্রমণ করে মুক্তিসেনারা৷ সেই সম্মুখ যুদ্ধে বেশ কয়েকজন শত্রুসেনাকে হত্যা করতে সক্ষম হন শাহ নেওয়াজরা৷

স্বাধীন বাংলাদেশ

এভাবে দেশ স্বাধীন হল৷ শাহ নেওয়াজ ফিরে গেলেন কলেজে৷ শিক্ষাজীবন শেষে কিছুদিন চাকুরিও করেছেন তিনি৷ এরপর মনোযোগ দেন ব্যবসায়৷ বর্তমানে ফরিদপুরেই অবস্থান করছেন শাহ নেওয়াজ৷ জানালেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীন দেশের চিত্রটা বদলে গিয়েছিল৷ সর্বশেষ নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি৷

বর্তমান বাংলাদেশের কাছে ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছু প্রত্যাশা করেননা শাহ নেওয়াজ৷ তবে, সামগ্রিকভাবে সকলের সহযোগিতায় দেশের উন্নতি চান এই বীর সেনা৷ ব্যক্তির চেয়ে রাষ্ট্র যেন বড় হয়ে ওঠে রাজনীতিবিদদের কাছে, এই প্রত্যাশা তাঁর৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন