1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংলাপে জামায়াত ইস্যু

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ অক্টোবর ২০১৩

সংলাপে জামায়াত ইস্যু বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করতে পারে৷ কারণ সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে জামায়াতকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে রাজি নয়৷ এদিকে বিএনপির ওপর জামায়াত চাপ দিচ্ছে যে, তাদের নিয়েই সংলাপে যেতে হবে৷

https://p.dw.com/p/1A90d
Activists of Hifazat-e Islam shout slogans during a rally in support of the Long March, a march from Chittagong to Dhaka, in Dhaka, Bangladesh, Friday, April 5, 2013. A number of activists under the banner of Hifazat-e Islam are set to start their long march from Chittagong to Dhaka Saturday on foot to protest against Bangladeshi bloggers who they allege are hurting religious sentiments of the country's Muslim majority. (AP Photo/A.M. Ahad) ***FREI FÜR SOCIAL MEDIA***
ছবি: picture-alliance/AP Photo

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন নতুন করে সংলাপের আমন্ত্রণ পেলেই তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷

বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী৷ সরকার-বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে৷ ২৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের সমাবেশে সামনের দিকেই অবস্থান নিয়েছিল জামায়াত শিবিরের কর্মীরা৷ সমাবেশ শুরু হয়েছিল শিবির নেতার বক্তব্য দিয়ে৷ সমাবেশে জামায়াত নেতারা জোর দিয়েই বলেছেন সংলাপ হতে হবে ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে৷ আর খালেদা জিয়া তাঁর বক্তৃতায় বলেন ক্ষমতায় গেলে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে৷ সেদিন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যুদ্ধাপরাধের দন্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে তাদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডে ভরে ফেলে সমাবেশ স্থল৷

Mr Suranjit Sengupta resigns as Railways minister of Bangladesh on April 16, 2012.
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তছবি: DW

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপে সংলাপের আমন্ত্রণ জানালেও জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানান হয়নি বলে তখন জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ৷ আর বুধবার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে জানান, সংলাপে জামায়াতকে আমন্ত্রণ বা গ্রহণ করার প্রশ্নই ওঠে না৷ জামায়াতের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার৷ স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে কোনোভাবেই সরকার বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসার সুযোগ দেয়া হবেনা৷ বিএনপিকে জামায়াতকে বাদ দিয়েই সংলাপে আসতে হবে৷ তিনি বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের আহ্বান জানান৷

এদিকে জামায়াত নানাভাবে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে৷ ২৫ অক্টোবরের সমাবেশে জামায়াত নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নিয়ে সংলাপের কথা বলেই ক্ষান্ত থাকেনি৷ জানা গেছে তারা এখন বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে৷ সামনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে জামায়াতের দাবি উপেক্ষা করার তেমন সুযোগ থাকবেনা বিএনপির৷ আর একারণেই বিএনপি এখনো জামায়াতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান হরতালের কারণে প্রধামন্ত্রীর ২৮ অক্টোবরের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেনি বিএনপি৷ আর হরতালের পর নতুন করে আমন্ত্রণ জানান হয়নি৷ আমন্ত্রণ জানান হলে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জামায়াত নেতারা যাবেন কিনা৷ তবে তিনি বলেন এখন ১৮ দলীয় জোটের ব্যানারে সরকার বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে৷ তাই সব কিছুই বিএনপি জোটগতভাবেই করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য