1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিতর্ক

২৫ জুলাই ২০১০

একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের নীতি-স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অথবা দাবি রাখছেন, তেমনই অপরদিকে আইনজ্ঞ এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত দিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/OU0v
Parliament in Dhaka, Bangladesh
বিতর্ক শুধু সংসদেই নয়, দেশ জুড়েছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বিশিষ্ট আইনজ্ঞ এবং সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে একটি এ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপের পর সাংবাদিকদের যা বলেন, তা যুগান্তর, কি কালের কণ্ঠ, কি সমকাল, কি জনকণ্ঠ, সর্বত্রই আলোচনার একটা ভিত্তি তৈরী করে দিয়েছে, বলা চলে৷ অপরদিকে রয়েছে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মন্তব্য৷ তিনিও অনুরূপ বিশদ মতামত দিয়েছেন৷

সংবিধান সংশোধনই শুধু নয়, দেশের বিগত চল্লিশ বছরের ইতিহাসই যেন প্রতিফলিত হচ্ছে এই বিতর্কে৷ ড. কামাল হোসেনের মনোভাব হল, সংবিধান সংশোধন করতে হলে ঐকমত্য গড়ে তুলে জনমত যাচাই করে অগ্রসর হওয়া উচিত৷ এমনকি তাঁর মতে, এই মুহূর্তে সংবিধান সংশোধন বড় বিষয় নয়৷ তিনি আরো বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সরকার চাইলে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ নিতে পারেন৷

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অবস্থান

সে তো খুব অপরিচিত নয়৷ তবে তিনি শনিবার মতিঝিলে নিজের চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন ডেকে যে'সব কথা বলেছেন, তা সব পত্রিকাতেই বড় করে স্থান পেয়েছে৷ তাঁর যুক্তিতর্কের পুনরাবৃ্ত্তি করে ব্যারিস্টার আহমদ বিরোধী দলকে ‘‘লোক-দেখানো'' চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের ‘‘তাড়াহুড়া''-র কথা, সবই বলেছেন৷ তাঁর মতে বাহাত্তরের সংবিধানে কেন ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, তা'ও ব্যাখ্যা করেছেন৷ যুদ্ধাপরাধী আইন প্রসঙ্গ, রাষ্ট্রধর্ম প্রসঙ্গ, এ সব নিয়েও মতামত ব্যক্ত করেছেন৷ আলোচনাটা আসলে অনেক বড় আঙ্গিকের৷ তবুও আপাতত সংসদীয় কমিটি নিয়েই আলোড়ন৷

সংসদীয় কমিটি

সেটাই সব পত্র-পত্রিকায় দ্বিতীয় প্রসঙ্গ, বিশেষ ব্যারিস্টার আহমদ কমিটি ভেঙে সরকার ও বিরোধী দলের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবী তোলায়৷ বাস্তব বিকাশধারা বলতে শুধু এ'টুকু বলা যেতে পারে যে, কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কালের কণ্ঠের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি বিএনপি একাধিক সদস্য দিতে চায়, তা'ও দিতে পারে৷ কারণ সংসদের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কমিটিতে যে কোনো ধরণের সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম