1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবাদভাষ্য: মার্কিন কংগ্রেসে জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল

৪ নভেম্বর ২০০৯

চ্যান্সেলার ম্যার্কেল ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দিলেন৷ ১৯৫৭ যুদ্ধোত্তর পশ্চিম জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলার কনরাড আডেনাওয়ার এর পর ম্যার্কেলই প্রথম জার্মান চ্যান্সেলার যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিলেন৷

https://p.dw.com/p/KOS5
ছবি: AP

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল এর ভাষণটি ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ এক ভাষণ৷ তিনি কংগ্রেসে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের সামনে দেয়া ভাষণে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ওপরেই শুধু আলোকপাত করেন নি, ব্যক্তিগতভাবে তিনি কি ভাবেন তাও তুলে ধরেন৷ ম্যার্কেল সাবেক পূর্ব-জার্মানিতে তাঁর জীবন যাপনের কথা ব্যক্ত করেন, বলেন সেখানকার স্বৈরতন্ত্রী রাষ্ট্রে সীমিত সুযোগ সুবিধার কথা এবং বার্লিন প্রাচীর পতনের অভিজ্ঞতার কথা৷ এই প্রাচীর পতনের ফলে অনেকের জীবনে বিশেষ করে তাঁর জীবনে ঘটে নবসূচনা৷ ৯০ এর দশকে তাঁর প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথাও ম্যার্কেল তুলে ধরেন তাঁর ভাষণে৷

কংগ্রেসের উভয় পরিষদে দেয়া আঙ্গেলা ম্যার্কেল এর ভাষণকে সংসদ সদস্যরা বারংবার করতালি দিয়ে অভিনন্দিত করেন৷ তাঁরা তাঁদের আসন থেকে বারো বার উঠে দাঁড়ান এবং তাঁকে অভিনন্দন জানান৷ তিনি যখন ইউরোপ ও আমেরিকার মাঝে বিশেষ বন্ধনের কথা উল্লেখ করেন তখনই তাঁর ভাষণের বিশেষ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়৷ ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে যেভাবে স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে চলেছে, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতার সপক্ষে এই লড়াই যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার উল্লেখ করেন ম্যার্কেল৷ বলা বাহুল্য আফগানিস্তানেও৷ ম্যার্কেল তাঁর ভাষণে মধ্য-এশিয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে যখন সরাসরি উল্লেখ করেন তখন সংসদ সদস্যরা খুব খুশি হন৷ তাঁর ভাষণে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, জার্মানি ভবিষ্যতেও তার মিত্র দেশগুলোর সাথেই থাকবে এবং কঠিন সময়েও তাদের সঙ্গে অপরিহার্য সহযোগী হয়ে তার ভূমিকা পালন করে যাবে৷

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর ভাষণে ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকারের কথা জোর দিয়ে বলেন এবং ইরানের পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার বিরোধিতা করেন৷ বর্তমান বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথাও তুলে ধরেন তিনি৷

ম্যার্কেল বিশ্বায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কেও জার্মানির নীতি-অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন৷

সবশেষে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া জার্মানির পুনরএকত্রীকরণ সম্ভব হত না৷

প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক