1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ জানুয়ারি ২০১৪

বাংলাদেশে নির্বাচনি সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন হয়, তার বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে৷ আর নির্যাতনের প্রকৃত তথ্য ও কারা দায়ী তা সংগ্রহ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Aocc
Bangladesch Dhaka Anschlag Tempel
ছবি: AFP/Getty Images

৫ই জানুযারি নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘুরা হামলা এবং নির্যাতনের শিকার হন৷ বিশেষ করে, নির্বাচনের দিন রাত থেকে এই হামলা বেড়ে যায়৷ এখনো হামলা হচ্ছে৷ আর এই হামলার কারণে সারা দেশেই সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে আছেন৷ হামলায় আহত-নিহত ছাড়াও সংখ্যালঘুদের শত শত বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ ঘটেছে মন্দিরে আগুন এবং প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও৷ সংখ্যালঘুদের বড় একটি অংশ বাড়ি-ঘর, ব্যবসা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন৷ কেউ কেউ ভয়ে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছেন৷

সংখ্যালঘু নির্যাতনের বেশি ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা, যশোর, ঠাকুরগাঁও, নাটোর, দিনাজপুর, মাগুরা, নেত্রকোনা, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে৷ এ জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷ আইনমন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি বিবেচনা করে অনুমোদন দেয়ার পর তা গেজেট আকারে জারি করা হবে৷

Bangladesch Dhaka Anschlag Tempel
রামু বৌদ্ধ পল্লিতে হামলার ঘটনার বিচারও হবে এবার...ছবি: AFP/Getty Images

শুধুমাত্র ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাই নয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সব ঘটনাই বিচারের আওতায় আনা হবে৷ রামু বৌদ্ধ পল্লিতে হামলার ঘটনার বিচারও হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে৷

মানবাধিকার কমিশন এবং সরকারের প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব এলাকায় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেসব এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছেন৷ আর জেলা প্রশাসকরা এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পাঠাতে শুরুকরেছেন মন্ত্রণালয়ে৷

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সংখ্যালঘু নির্যাতনের কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনের পর ডয়চে ভেলেকে জানান, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে৷ যাতে কোনো সংখ্যালঘু পরিবার হামলা বা নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্য তাদের নিরাপত্তা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা হতে হবে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ৷ নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে পুলিশ বা তদন্ত সংস্থাকে নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করতে হবে৷ প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে যে, অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না৷ অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না৷

এছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত তদন্ত৷ তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী পুলিশই এসব ঘটনার তদন্ত করবে৷ তাই পুলিশকে আগে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে৷ আর সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ নয়ত ভয়ে অনেকেই সাক্ষী দিতে চাইবে না৷ তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত না হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য