1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকটে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৬ এপ্রিল ২০১৩

সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এপর্যন্ত প্রায় ৩০০ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই তৈরি পোশাক শ্রমিক৷ এর প্রতিবাদে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে, হয়েছে ভাঙচুর৷ আর পোশাক কারখানায় হয়েছে হামলা৷

https://p.dw.com/p/18Npe
ছবি: imago/Xinhua

বুধবার ধসে পড়া বহুতল ভবন রানা প্লাজার পাঁচটি ফ্লোরে মোট চারটি তৈরি পোশাক কারখানা ছিল৷ দ্বিতীয় তলায় নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেড, তৃতীয় তলায় ফ্যান্টাম এ্যাপারেলস, চতুর্থ তলায় ফ্যান্টাম ট্যাগ এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় ইথার টেক্সটাইল৷ এই গার্মেন্টস

ফ্যাক্টরিগুলোতে ঘটনার সময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক ছিলেন৷ তাই এখন পর্যন্ত যত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো অধিকাংশই গার্মেন্টস শ্রমিকদের৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা জানান, গার্মেন্টস মালিকরা জোর করে তাদের ফাটল ধরা ভবনে ঢুকিয়েছেন৷ তাদের বলেছেন, কাজ না করলে তাদের চাকরি থেকে ছাটাই করা হবে৷ অর্থাৎ, তাদের জেনে শুনেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে৷

Bangladesch Rana Plaza Rettungsaktion 26.04.2013
উদ্ধারকাজ চলছে...ছবি: Reuters

দ্বিতীয় দিনেও ভবন ও গার্মেন্টস মালিকরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসেন৷ তারা ঢাকা, সাভার, গাজিপুর ও আশুলিয়ায় প্রায় ১০০ গার্মেন্টস ভাঙচুর করেন৷ এমনকি, ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকশ' গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা৷ বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি ডয়চে ভেলেক জানান, এটা শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ৷ শনিবার সারা দেশে তারা শ্রমিক বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন৷ তাদের প্রধান দাবি দায়ী ভবন এবং গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেপ্তার৷ আহত ও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, দায়ী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা৷ রোববার সারাদেশের পোশাক কারখানায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৮টি শ্রমিক সংগঠন৷ তারা দায়ীদের শাস্তির পাশাপাশি নিহত এবং আহত শ্রমিকদের সারা জীবনের উপার্জনের সম পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে৷

Bangladesch Tote bei Einsturz von Textilfabrik 24.04.2013
এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ মরদেহছবি: Reuters

এদিকে তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ৷ সংগঠনের সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, শুক্রবার দুপুরের পর তারা পোশাক কারখানায় ছুটি দিয়ে দেন৷ শনিবার সারাদেশে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হতে পারে৷ এ ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ তিনি বলেন, বিজিএমইএ শুরুতেই বলেছে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ আহত ও নিহত শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন৷

বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় একের পর এক বিপর্যয় পোশাক শিল্পকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুন লাগার কয়েক মাসের মাথায় রানা প্লাজার ঘটনা পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ চরম প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ এতে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা বাধাগ্রন্থ হতে পারে৷ বিদেশি ক্রেতারাও বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে৷ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-মুখপাত্র প্যাট্রিক ভ্যান্ট্রেল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারকে পোশাক শিল্পের মালিক এবং ক্রেতাদের পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার পথ বের করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য