1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শ্রীলংকার বেসামরিক তামিলদের নিয়ে উদ্বেগ

১৭ এপ্রিল ২০০৯

শ্রীলংকার যুদ্ধাঞ্চলে আটকে পড়া বেসামরিক তামিলদের মানবিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়াতে বলেছে শ্রীলংকা সরকারকে৷ তবে ভারত কোনরকম মধ্যস্থতা করার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/HZH4
এলটিটিই-র স্বল্প বয়সী যোদ্ধারাছবি: AP

শ্রীলংকার যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় আটকে পড়া হাজার হাজার বেসামরিক তামিলদের মানবিক পরিস্থিতিতে আবার উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ আরো বাড়াতে বলেছে শ্রীলংকা সরকারকে৷ যাতে বেসামরিক তামিলরা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে৷ এই সময় লাগাতার সামরিক অভিযান চালালে নিরীহ তামিলদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে যা কখনোই মেনে নেওয়া যায়না৷

এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী এলটিটি গেরিলা ও শ্রীলংকা সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে বলেন, মধ্যস্থতা করার কোন প্রশ্নই ওঠেনা৷ এ বিষয়ে ভারতের নীতিঅবস্থান পরিস্কার৷

ভারতে এখন চলছে সাধারণ নির্বাচন৷ শ্রীলংকা তামিলদের নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় নেতাদের ওপর চাপ ক্রমশই বাড়ছে৷ দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর ছয় কোটি তামিলের সঙ্গে শ্রীলংকার তামিলদের এক ধরনের আবেগ জড়িত৷ কাজেই ইস্যুটি খুবই স্পর্শকাতর৷ ভোটে জিততে হলে তামিলদের সমর্থন কংগ্রেসের পক্ষে জরুরি৷

এদিকে শ্রীলংকার তামিলদের ৪ সদস্যের এক সংসদীয় দল এখন নতুন দিল্লিতে৷ তারা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম.কে.নারায়ানন এবং পররাষ্ট্র সচিব শিব শঙ্কর মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংঘর্ষ বন্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, যে প্রায় আড়াই লক্ষ তামিল জনগোষ্ঠী যুদ্ধাঞ্চলে আটকে পড়েছে৷ এদের জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ভারত যেন শ্রীলংকাকে চাপ দেয়৷ যুদ্ধমুক্ত এলাকাতেও শ্রীলংকার সেনারা বেসামরিক তামিলদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন৷ প্রতিদিন যুদ্ধাঞ্চলে হতাহত হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ অসামরিক তামিল৷

উল্লেখ্য, শ্রীলংকা সরকারের দু'দিনের যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বুধবার শেষ হলে এলটিটির বিরুদ্ধে আবার সামরিক অভিযান শুরু হতে চলেছে৷ শ্রীলংকার সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে এখনও এক লক্ষের মতো অসামরিক তামিলকে এলটিটি মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে৷ ২৫ বছরের এই গৃহযুদ্ধে শ্রীলংকা সেনা বাহিনী এলটিটি নিয়ন্ত্রিত ৯০ শতাংশ এলাকা নিজেদের দখলে আবার আনতে সক্ষম হয়েছে৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক