1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শিশু কারখানা’

২৩ ডিসেম্বর ২০১৩

এক বাড়িতেই ছিলেন ১৯ জন অন্তঃসত্ত্বা৷ প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন জন্ম নেয়ার পরই সন্তানকে বিক্রি করে ফিরে যাবেন বাড়িতে৷ কিন্তু্ তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে নাইজেরিয়ার পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1AeVZ
প্রতীকী ছবিছবি: AFP/Getty Images

নাইজেরিয়ায় শিশু পাচার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে৷ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি হয় প্রতারণা, তারপর মাদকের ব্যবসা সংক্রান্ত অপরাধ আর তারপরই রয়েছে শিশু পাচার৷ শিশু পাচার এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে পাচারকারীরা এখন আর শিশুর জন্মের অপেক্ষা করে না, তার আগেই চুক্তি করে ফেলে সন্তানের মা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কারো সঙ্গে৷

এতে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়া কিছু মেয়ের খুব সুবিধা হয়েছে৷ অনাকাঙ্খিত সন্তানের কারণে সামাজিক হয়রানি এড়াতে তাঁরা সময়মতো চলে যান দূরের কোনো মাতৃসেবা কেন্দ্রে৷ সেখানে নিরাপদে তাঁরা সন্তানের জন্ম দেন৷ জন্মের পরপরই বিক্রি হয়ে যায় সদ্যোজাত শিশু৷ শিশু বিক্রির টাকার একটা অংশ পেয়ে খুশি মনেই তখন বাড়ি ফেরেন মায়েরা৷

শুক্রবার উমুআহিয়া শহরের এক ঘর থেকে সেরকম ১৯ তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে নাইজেরিয়ার পুলিশ৷ আর কয়েকদিন পর প্রত্যেকেই মা হতেন৷ তারপর সন্তান বিক্রি করে কিছু টাকাও পেতেন৷ কিন্তু তা আর হলো না৷ গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন হাজতে৷ শিশু পাচারকারীকে ধরা যায়নি৷ পুলিশ আসার আগেই পাচারকারী পালিয়েছে৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য