1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিলাবৃষ্টির পিছনেও ব্যাকটিরিয়া!

২৫ মে ২০১১

তার বৈজ্ঞানিক নাম ‘সয়ডোমোনাস সিরিঙ্গে’৷ তাকে ঘিরেই আকাশে স্ফটিকের মতো বরফের ক্রিস্টাল জমে জমে বরফের শিলা গড়ে ওঠে, ঘাটেমাঠে ঝরে পড়ে বিপত্তি ঘটায়৷

https://p.dw.com/p/11NZZ
হাঁসমুর্গির ডিম নয়, শিলাবৃষ্টির শিলা, অস্ট্রেলিয়ায়ছবি: AP

শিলাবৃষ্টি কম বেশি সব দেশেই হয়৷ মার্কিন মুলুকে তা কখনো-সখনো টেনিস বলের আকার ধারণ করতে পারে৷ কিন্তু এই শিলা আসে কোথা থেকে? গত বছরের জুন মাসে একটি ঝড়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা প্রদেশে যখন দুই ইঞ্চি ব্যাসের শিলাগুলি ঝরে পড়ে, তখন এক বিজ্ঞানী সেরকম কিছু শিলা জমিয়ে রেখেছিলেন৷ বিজ্ঞানীটি হলেন মন্টানা স্টেট ইউনিভার্সিটির আলেক্সান্ডার মিশো৷

মিশো পরতে পরতে সেই শিলা গলিয়ে সেই তরল জলের রাসায়নিক এবং জীববিদ্যাগত পরীক্ষা করেন৷ তিনি আবার মাইক্রোবায়োলজিস্ট, অর্থাৎ অনুজীব কিংবা জীবাণু ঘাঁটাই তাঁর কাজ৷ বরফের শিলার প্রথম যে অংশটি দানা বাঁধে, তাকে পরিভাষায় বলে ‘ভ্রুণ'৷ মিশো দেখেন, শিলার ‘ভ্রুণের' মধ্যে একটি ব্যাকটিরিয়া খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে: এক বিশেষ ধরণের ব্যাকটিরিয়া, একটি উদ্ভিদ প্যাথোজেন, যার নাম সয়ডোমোনাস সিরিঙ্গে৷

ও হ্যাঁ, মিশো'র গবেষণার ক্ষেত্র হল বায়োপ্রেসিপিটেশন, অর্থাৎ কিভাবে ব্যাকটিরিয়ার সাহায্যে মেঘ থেকে বৃষ্টি সৃষ্টি করা যায়৷ ওদিকে মাইক্রোবায়োলজিস্ট মাত্রেই জানেন, এই পি. সিরিঙ্গে ব্যাকটিরিয়ার কয়েকটি স্ট্রেইনের এমন একটি জিন আছে, যার কল্যাণে তারা তাদের বাইরের মেমব্রেইন বা ত্বকে এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন সৃষ্টি করে, যে প্রোটিন আবার জলের মলিকিউল বা অণুগুলিকে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ছকে বেঁধে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে৷

কাজেই শিলাবৃষ্টির বরফের নিউক্লিয়াস বা মূলাধার হল ঐ ব্যাকটিরিয়া, যাকে কেন্দ্র করে বরফের ক্রিস্টালগুলি গড়ে উঠতে বা নিউক্লিয়েট করতে সমর্থ হয়৷ বিজ্ঞানীরা যাই বুঝুন, আমরা কি বুঝলাম? ঐ দাঁত ব্যথা করলেও ব্যাকটিরিয়া৷ আর শিলাবৃষ্টিতে চাল ফুটো হলেও ব্যাকটিরিয়া৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা