1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া

২৪ ডিসেম্বর ২০১২

শান্তি ফেরানোর জন্য আবার সিরিয়ায় গেছেন জাতিসংঘ ও আরব লিগের শান্তি দূত লাখদার ব্রাহিমি৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর৷ তবে বৈঠক শেষে দুজনই যা বলেছেন তাতে তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই৷

https://p.dw.com/p/178SL
Source News Feed: EMEA Picture Service ,Germany Picture Service International peace envoy for Syria Lakhdar Brahimi arrives at his hotel in Damascus December 23, 2012. Brahimi is expected to meet Syrian President Bashar al-Assad a day later, airport sources in Lebanon said. REUTERS/Khaled al-Hariri (SYRIA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

সংকট নিরসনের জন্য এর আগেও কয়েকবার সিরিয়ায় গিয়েছেন লাখদার ব্রাহিমি৷ চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখার৷ রোববারও সেই উদ্দেশ্যেই লেবানন থেকে সিরিয়ায় যান জাতিসংঘ ও আরব লিগের শান্তি দূত৷ তবে এখন যুদ্ধ সেখানে এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দেয়া খবর অনুযায়ী দামেস্কের বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় লেবানন থেকে গাড়িতে যেতে হয়েছে তাঁকে৷ গিয়েছেন এমন দিনে যেদিন হামায় একটি বেকারিতে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর বিমান হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে৷
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় রোববার থেকে দামেস্ক অন্ধকার নগরী৷ সেই অন্ধকারেই সম্ভাবনার আলো জ্বালাতে লাখদার ব্রাহিমি এখন সিরিয়ায়৷ সোমবার খুব গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে৷ বৈঠক শেষে ব্রাহিমি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে কী কী করা যেতে পারে এ নিয়ে আমরা মত বিনিময় করেছি৷ সিরিয়া সঙ্কট আগের মতোই উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে৷ এ অবস্থায় আসাদ তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করেছেন৷ আমি এ অঞ্চল এবং এর বাইরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছি৷’’ এ সময় প্রেসিডেন্ট আসাদ জানান, তাঁর সরকার পরিস্থিতি উন্নয়নের যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ৷ সম্প্রতি রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সিরিয়া সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছেন ব্রাহিমি৷ মনে রাখা দরকার, আরব বিশ্ব এবং পাশ্চাত্যের প্রায় সব দেশই এখন বিদ্রোহীদের পক্ষে, তবে রাশিয়া ও চীন শুরু থেকেই বলে আসছে সিরিয়া সঙ্কটের সমাধান হতে হবে আলোচনার মাধ্যমে৷
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রতিদিনই আসছে বিদ্রোহীদের সাফল্যের খবর৷ বিদ্রোহীদের দাবি, আলেপ্পোয় বড় রকমের সাফল্য পেয়েছে তাঁরা৷ আসাদের অনুগত বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে, দখল করেছে প্রচুর অস্ত্র-শস্ত্র-গোলাবারুদ৷ অবশ্য কোনো খবরই ভালোভাবে যাচাই করতে পারছেনা বার্তা সংস্থাগুলো, কারণ, ২০১১ সালের মার্চে আসাদ বিরোধীরা যু্দ্ধে লিপ্ত হবার পর থেকে উত্তেজনাপূর্ণ সব এলাকায় বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে আসাদ সরকার৷
এসিবি/জেএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য