1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শহুরেদের মন ভালো করতে বাভারিয়ার পাহাড়

২০ এপ্রিল ২০১০

‘‘বের্গভেল্ট স্টাট বার্নআউট’’, এই হল আপার বাভারিয়া পর্যটন দপ্তরের স্লোগান৷ এর মানে হল ‘চরম ক্লান্তির পরিবর্তে পাহাড়ের জগৎ’৷ এবং এই স্লোগানের লক্ষ্য হল চাপ ও অশান্তি পীড়িত শহুরে মানুষ৷

https://p.dw.com/p/N0iC
এক অন্য জগৎছবি: dpa

ব্যতিব্যস্ত শহুরে মানুষরা বাভারিয়ার আল্পস পর্বতাঞ্চলে অনেক কিছুই করতে পারেন: যেমন পাহাড়ি পথে হাইকিং, এমনকি তীর্থযাত্রা৷ অথবা কোন প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে একটি সুন্দর পাহাড়ি নদীর ধারে গিয়ে মেডিটেশন শেখা৷ এটা বস্তুত এক ধরণের সেমিনার৷ এর উদ্দেশ্য হল, মানুষজন যেন ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েই আবার ইঁদুরকলে না পড়েন, আবার উর্ধ্বশ্বাস হয়ে টাকা, পদোন্নতি, গাড়িবাড়ির পিছনে ছুটতে শুরু না করেন৷

কাজেই যারা বাভারিয়ান আল্পসে এসে এই টার্বো-রিল্যাক্সেশন শিখছেন, তাদের প্রথম কাজ হল মাথা থেকে সব জঞ্জাল সরানো৷ এবং সে কাজটা নাকি প্রকৃতির ক্রোড়েই সবচেয়ে ভালো হয়৷ এবং সেটা যে সবসময় মেডিটেশন থেকে হতে হবে, এমন নয়৷ কোনো ঘাসে ঢাকা উপত্যকায় দাঁড়িয়ে এশীয় তীরন্দাজিও শেখা যেতে পারে৷ তীরন্দাজি কেন? প্রথমে শরীরটাতে টান টান করে একটি বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়ানো৷ তারপর মনঃসংযোগ করা৷ তারপর জ্যাতে টান দেওয়া৷ তারপর সেই টান ছেড়ে দিয়ে তীর নিক্ষেপ৷ একে নাকি বলে ফোকাসিং৷ কেননা অন্য কিছুর কথা চিন্তা করতে করতে লক্ষ্যভেদ করা সম্ভব নয়৷

যারা বাভারিয়ান আল্পসে আসেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ধর্মবিশ্বাসী৷ এদের জন্য রয়েছে তথাকথিত মেডিটেশন ট্রেইল, বা ধ্যানের পথ৷ পার্বত্য প্রকৃতির মধ্য দিয়ে ৮৫ কিলোমিটার পায়ে চলার পথ৷ মাঝে মাঝেই পড়ে কোনো পুরনো গির্জা কি মঠ, এমনকি পুরনো দুর্গ৷ সব জায়গাতেই সাইনবোর্ডে স্থানমাহাত্ম্য জানান দেওয়া আছে৷ এবং এই ঐতিহ্যবাহী সম্পদ শুধু খ্রিষ্টানদের জন্যই নয়৷ অন্য ধর্মের মানুষরাও বাভারিয়ান আল্পসের এই ‘‘শক্তির উৎসগুলি'' থেকে শক্তিসঞ্চয় করতে পারেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার