1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদর্শ ইলেকট্রিক গাড়ি

আনকে ভ্যার্নার / এসি৭ ডিসেম্বর ২০১৩

বায়ু ও শব্দদূষণ এড়িয়ে পরিবহণের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে ইলেকট্রিক গাড়ি৷ তবে এমন গাড়ির মালিক হওয়া আজও সহজ নয়৷ কিন্তু ‘কার-শেয়ারিং’ পরিষেবা থাকলে যে কেউ প্রয়োজনে ইলেকট্রিক গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/1AUCR
07.05.2013 DW DEUTSCHLAND HEUTE Carsharing

শহরের ভেতরে ভালো চলে ইলেক্ট্রিক কার

দ্রুত এবং নিঃশব্দে শহরে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা দিতে পারে ইলেকট্রিক গাড়ি৷ তা নিয়েই কাজ করেন বার্লিনে মাল্টিসিটি সার্ভিস-এর প্রতিনিধি ডানিয়েল টোমাস৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার ইলেকট্রিক কার চালানোর অনুভূতিটাই আলাদা৷ চালাতে দারুণ লাগে৷ স্পিডে চলে, সুন্দর বাঁক নেয়৷ বিশেষ করে ছোট গাড়িগুলো৷ খানিকটা গো-কার্ট চালানোর কথা মনে করিয়ে দেয়৷ অ্যাক্সিলারেশনটা দারুণ৷ যদি ইচ্ছে করে, তাহলে প্রত্যেক ট্র্যাফিক লাইটেই অন্যদের পেছনে ফেলে দেওয়া যায়৷''

ডানিয়েল ইউনিভার্সিটির ছাত্র৷ ছুটির সময়ের কাজ৷ সিট্রোয়েন-এর কারশেয়ারিং গাড়িগুলোকে গ্রাহকরা যেখানে পার্ক করে রেখেছেন, ডানিয়েল সেগুলোকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় পার্ক করেন, অথবা চার্জিং স্টেশনে নিয়ে যান৷ ডানিয়েল বলেন, ‘‘চার্জিং স্টেশনে গাড়ি প্লাগ করলেই পথচারীদের প্রশ্ন শুরু হয়: এটা কী বস্তু? এটা কি একটা ইলেকট্রিক কার? ওটাকে নিয়ে এখন কী করছেন? কতক্ষণ চার্জ করবেন? গাড়িটা কতক্ষণ চলতে পারে - ব্যাটারির চার্জ কতদূর অবধি থাকে? এটাও একটা চার্জিং স্টেশন৷ একটা গাড়ি এখন ব্যাটারি চার্জ করছে৷''

সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা

এই ইলেকট্রিক কারগুলোতে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার অবধি যাওয়া যায়৷ এয়ার কন্ডিশনিং চালালে আরো কম৷ রেঞ্জ কম হওয়াটা আজও মূল সমস্যা৷ এই গাড়িটাকে একটা চার্জিং পয়েন্টে নিয়ে যেতে হবে – যেটা ডানিয়েল টোমাসের কাজ৷ ব্যাটারিতে আর মাত্র ত্রিশ শতাংশ চার্জ আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে৷ আন্দাজ করে নিতে হয়, সঠিক সময় বলা কঠিন৷''

রেঞ্জ কম আর ব্যাটারি চার্জ করার সময়টা বেশি৷ তবুও এই ইলেকট্রিক কার শহরে গাড়ি চালানোর পক্ষে ভালো – এই হল ফরাসি গাড়ি নির্মাতা সিট্রোয়েন-এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি মাল্টিসিটি কারশেয়ারিং-এর অভিমত৷ তাদের গ্রাহকরা প্রতিবার গড়ে পাঁচ কিলোমিটার চালান৷ সেই কারণেই মাল্টিসিটি একমাত্র কারশেয়ারিং কোম্পানি, যারা শুধুমাত্র ইলেকট্রিক কার অফার করে৷ সিট্রোয়েন সংস্থার জার্মানি শাখার সিইও হলগার ব্যোমে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আমাদের হাতে সাড়ে তিনশো ইলেকট্রিক কার এসেছে, যার দাম গাড়ি প্রতি পঁচিশ হাজার ইউরো৷ সেই সঙ্গে গাড়িগুলোর পিছনে মেকানিক-কর্মীদের টিম, লজিস্টিক্স, ন্যাভিগেশন সিস্টেম, গাড়ি খোলার জন্য কার্ড ঢোকানোর সিস্টেম, পার্কিং-এর জন্য শহর কর্তৃপক্ষকে যে মাশুল দিতে হয়৷ সব মিলিয়ে বেশ কয়েক মিলিয়ন ইউরো৷''

বড় আকারে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার

কারশেয়ারিং কোম্পানিগুলির পক্ষে ইলেকট্রিক কার রাখা সাধারণ পেট্রোল কার রাখার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ৷ এই কারণে মাল্টিসিটির প্রতিযোগীরা ও পথে যেতে অনিচ্ছুক৷ জার্মানিতে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সবচেয়ে বড় কোম্পানি হল সিক্সট৷ তারা গাড়ি নির্মাতা বিএমডাব্লিউ-এর ‘ড্রাইভ নাউ' শাখা কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করে থাকে৷ তবে তাদের ৮০০টি গাড়ির মধ্যে মাত্র ৪০টি হল ইলেকট্রিক৷ শুধুমাত্র ইলেকট্রিক কারের বহর সিক্সট-এর পক্ষে অকল্পনীয়৷ সিক্সট, জার্মানির লার্স-এরিক পেটার্স বলেন, ‘‘তার সময় এখনও আসেনি৷ আমি কিছু কিছু বাড়াতে পারি, ধীরে ধীরে ইলেকট্রিক কার-এর বহর গড়ে তুলতে পারি৷ কিন্তু এই প্রযুক্তির উপর একশো ভাগ নির্ভর করার মতো ভুল আমি কোনোদিন করব না৷ তার ফলে বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকরা সম্ভবত ভয় পাবেন, নিজেদের একঘরে মনে করবেন৷ এছাড়া বার্লিনে এখনও পর্যাপ্ত চার্জিং পয়েন্ট নেই৷''

Carsharing Station für Elektrofahrzeuge in Erfurt
ইলেকট্রিক কারগুলোতে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার অবধি যাওয়া যায়ছবি: picture-alliance/dpa

চাহিদা ও ব্যস্ততা

মাল্টিসিটির সাড়ে তিনশো ইলেকট্রিক কার-এর কল্যাণেই ডানিয়েলের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই৷ পরের বছর আবার আরো দেড়শো গাড়ি যুক্ত হচ্ছে৷ শহরে আরো বেশি ইলেকট্রিক কারের অর্থ, পথেঘাটে সকলকেই তাতে অভ্যস্ত হতে হবে৷ মাল্টিসিটি সার্ভিস-এর ডানিয়েল টোমাস বলেন, ‘‘একবার একটা বাঁকে হঠাৎ একটা সাইকেল এসে পড়ল৷ যে চালাচ্ছিল, সে হয়তো ভেবেছিল গাড়ি এলে আওয়াজ শুনতে পাবে৷ কিন্তু শুনতে পায়নি কেননা এটা একটা ইলেকট্রিক কার৷ এ গাড়ি কোনো আওয়াজ করে না৷ কাজেই আমি কোনোমতে পাশ কাটাতে পেরেছি, তাকে চাপা দিইনি৷ গাড়ির ড্রাইভার হিসেবেও মনে রাখতে হবে, লোকজন এই গাড়ির আওয়াজ শুনতে পায় না৷''

ইলেকট্রিক কারে মিনিট প্রতি কারশেয়ারিং গ্রাহকের খরচা পড়ে ২৮ সেন্ট৷ চকচকে ঝকঝকে গাড়ি হল সার্ভিসের অঙ্গ৷ গাড়িগুলোকে গ্যারেজে নিয়ে আসাও ডানিয়েলের কাজের মধ্যে পড়ে৷ সেখানে কোম্পানির মেকানিকরা গাড়ির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা আর ব্যাটারি চেক করে দেখে৷ ঐ ব্যাটারিই আবার গাড়ির সবচেয়ে দামী অংশ কিনা৷ ডানিয়েল টোমাস সময় নষ্ট না করে পরের ইলেকট্রিক কার-টিকে নিয়ে ব্যস্ত৷ সেটাকেও চার্জিং স্টেশনে নিয়ে যেতে হবে৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য