লন্ডনে দাঙ্গা থামতে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী
৯ আগস্ট ২০১১সর্বশেষ পরিস্থিতি
শনিবার থেকে শুরু হওয়া দাঙ্গা এখনো জ্বলছে ব্রিটেন৷ লন্ডনবাসী'র কাছে যেন প্রতিটি রাত এক একটি বিভীষিকায় রূপ নিচ্ছে৷ দাঙ্গাবাজরা বিভিন্ন শহরে নির্বিচারে ভাংচুর চালাচ্ছে, লুট করছে, অগ্নিসংযোগ করছে৷ সোমবার সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে মঙ্গলবার৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার লন্ডনের রাস্তায় থাকবে ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য৷
ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মঙ্গলবার কোবরা নামক সরকারি আপদকালীন কমিটির বৈঠকে অংশ নেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘যুক্তরাজ্যের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সেগুলো সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করবো''৷ লন্ডনে এই দাঙ্গার প্রেক্ষিতে সংসদে জরুরি অধিবেশনও ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বার্মিংহাম, লিভারপুল, নোটিংহাম এবং ব্রিস্টলসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে দাঙ্গা৷ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, ব্রিটেনের রাস্তায় বহু বছর এমন সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি৷ এই ধরনের সহিংসতা, অপরাধবৃত্তি, সহিংসা, লুটপাট, চুরি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য৷
নিহতের পরিচয়
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, ২৬ বছর বয়সি এক যুবককে ক্রয়ডনের একটি গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল৷ সে হাসপাতালে মারা গেছে৷ নিহতের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ বার্তাসংস্থাগুলো জানাচ্ছে, সোমবার সন্ধ্যায় দাঙ্গায় গুলিবিদ্ধ হয় এই তরুণ৷ সেসময় ক্রয়ডনের কয়েকটি ভবনে আগুন জ্বলছিল৷ কারা তাকে গুলি করেছে তাও এখনো জানা যায়নি৷ পুলিশ এই হত্যার তদন্ত শুরু করেছে৷
দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শী ব্রিটেনের ইলিং শহরের বাসিন্দা ক্রিস্টিনা পটস বিবিসিকে জানিয়েছেন, মনে হচ্ছিল যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র৷ হাভান গ্রিন পার্কে ২৫ থেকে ৩০ জন মুখোশধারী যুবক একটি ফুলের দোকান ভাংচুর শুরু করে৷ স্থানীয় একটি পরিবারের দোকান ছিল সেটি, আমি জানিনা তারা কেন এগুলো করছে৷
দাঙ্গার শুরু
ব্রিটেনের টটেনহাইমে গত সপ্তাহে পুলিশের হাতে মারা যায় ২৯ বছর বয়স্ক মার্ক ডাগান৷ এর প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতার শুরু হয়৷ রাতের আধারে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা৷ গত তিনদিন ধরে চলছে এই সহিংস পরিস্থিতি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ