1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের উপর হামলার ছবি

আরাফাতুল ইসলাম১৯ নভেম্বর ২০১২

গত অক্টোবরের শেষের দিকে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর রাখাইন সম্প্রদায়ের হামলায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মদদ ছিল৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রবিবার জানিয়েছে এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/16lJd
ছবি: Reuters

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা-রাখাইন সংঘাত নতুন নয়৷ চলতি বছরের জুন মাসে এই সংঘাত আবারো ব্যাপক আকারে দেখা দেয়৷ এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে৷ সর্বশেষ অক্টোবরেও নতুন মাত্রা পায় এই সংঘাত৷ গত সপ্তাহে ভারত সফরকালে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি এই বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন৷ ভারতীয় এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সু চি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে গেছে, না মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গেছে – এই প্রশ্ন তোলেন৷ রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে চান সু চি, কেননা তিনি বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করতে চান৷

Präsident Barack Obama Thailand Besuch Don Muang Flughafen
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শুরু করছেন ওবামাছবি: Reuters

সু চি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও জাতিদাঙ্গা থেমে নেই৷ রবিবার এই দাঙ্গা সম্পর্কে কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত অক্টোবরের শেষের দিকে বৌদ্ধ রাখাইনরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে৷ এসময় সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা রাখাইনদের পক্ষ নিয়েছিল বলে দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের৷ সংগঠনটি এক্ষেত্রে কয়েকটি শহরের নামও উল্লেখ করেছে৷

মানবাধিকার সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের পাউকটাও এবং ম্রাউক-উ উপশহরে গত ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের উপর হামলা চালায় রাখাইনরা৷ অক্টোবরের শেষের দিকে আরো সাতটি উপশহরে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে৷

রাখাইন রাজ্যের চারটি উপশহরে সহিংসতার কিছু স্যাটেলাইন ছবিও প্রকাশ করেছে এইচআরডাব্লিউ৷ সংগঠনটি এসব ছবিতে কমপক্ষে ৪,৮৫৫টি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা সনাক্ত করেছে৷ ছবিতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৮ একর জায়গা সনাক্ত করা হয়েছে, যেখানে মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের আবাস ছিল৷ সর্বশেষ জাতিদাঙ্গার ঘটনায় বেশ কয়েক হাজার রোহিঙ্গা স্থানচ্যুত হয়েছে বলেও জানায় সংগঠনটি৷

Brad Adams Human Right Watch Archivbild 2006
ব্রাড অ্যাডামসছবি: AP

প্রসঙ্গত, সোমবার মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এই প্রথম কোন ক্ষমতায় থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেদেশ সফর করছেন৷ ওবামা তাঁর সফরকালে সেদেশের প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেইন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস মনে করেন, রোহিঙ্গাদের উপর হামলা বন্ধে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের উপর ওবামার চাপ প্রয়োগ করা উচিত৷

এইচআরডাব্লিউ'র তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা গত কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে রাষ্ট্র সমর্থিত বৈষম্য এবং নিগ্রহের শিকার হয়ে আসছে৷ ১৯৮২ সালে প্রণীত মিয়ানমারের নাগরিক আইন অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা সেদেশের নাগরিক নয়৷ সেহিসেবে তারা এক রাষ্ট্রহীন জাতি৷

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে গত কয়েক দশকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে৷ এর মধ্যে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷ আর অনিবন্ধিত ৪ লাখ৷ মিয়ানমারে সর্বশেষ জাতিদাঙ্গার সময় রোহিঙ্গারা পানিপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাধা প্রদান করে৷ বাংলাদেশ আর কোন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে রাজি নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য