রোমান্টিক হিরো হতে চান অক্ষয়

কমেডি বা হাস্যরসের মধ্য দিয়ে কাহিনীর উপস্থাপনা৷ কখনো রং মেখে ধুতি কোচা দিয়ে আবার কখনো চাইনিজ হিসাবে মূল চরিত্রে অভিনয়৷ আর সেখানে নায়ক হিসাবে নায়িকার মন জয় করার খেলা৷ সাত কি আট বছর ধরে এভাবেই কমেডি হিরো হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন অ্যাকশন হিরো অক্ষয় কুমার৷ পয়সা, সুনাম, ছবির সংখ্যা কোনটার দিকেই কমতি নেই এখন এই বলিউড হিরোর৷ একসময় টানা ১৪ টি ফ্লপ ছবিতে অভিনয় করা এই অ্যাকশন হিরো এখন নিজের সাফল্যে নিজেই অভিভূত৷

কিন্তু এবার সুটিং স্পট আর কাহিনী দুটোতেই কিছুটা তরুণ প্রেমের ছোঁয়া চান তিনি৷ হতে চান রোমান্টিক হিরো৷ তার মতে নায়িকার বাহুডোরকে ঘিরে তৈরি হওয়া ছবি এবার হবে তার পরবর্তী টার্গেট৷ আর এই বয়সে কোন ষোড়শীর বাহুতে ধরা দিলে সেই ছবি অবশ্যই সফল্যের মুখ দেখবে, এ নিয়ে মোটেই সন্দেহ নেই অক্ষয়ের৷

একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তার ধারণাই ছিলনা যে তিনি একজন কমেডি হিরো হিসাবে নাম করবেন৷ তাই কাহিনী ভালো হলে রোমান্টিক ছবিও সাফল্যের মালা পরবে৷ তার মতে, রোমান্টিক ছবি ‘ধড়কান'ই এর প্রমাণ৷ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ছবি দেশে বিদেশে৷ তাই চিন্তা কিসের৷

তিনি মনে করেন তার যেসব ছবি ফ্লপ হয়েছে তার বেশির ভাগেরই কারণ ছবির বাজে কাহিনী৷ কিন্তু প্রতিটি সুপার হিট ছবির পেছনে রয়েছে, ভালো কাহিনী আর কঠোর পরিশ্রম৷

সম্প্রতি দীর্ঘ এক যুগ ধরে পড়ে থাকা একটি ছবির কাজ অবশেষে শেষ করেছেন বলিউড হিরো অক্ষয় কুমার৷ নাম ‘ পূরব কি লায়লা, পশ্চিম কি ছায়লা' [বর্তমান নাম ‘হ্যালো ইন্ডিয়া']৷ এর পর এখন আর এই বিশাল বলিউড তারকার হাতে কোন কাজ নেই৷ এখন শুধুই রোমান্টিক ছবির কাহিনী পড়তেই পছন্দ করছেন বলিউডের ভবিষ্যত রোমান্টিক হিরো অক্ষয় কুমার৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক