1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রেডিও এশিয়া’র তিন দিনের অধিবেশন শেষ হলো নতুন দিল্লিতে

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ডয়চে ভেলেসহ বেতার প্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশবিদেশের ৫৬ জন প্রতিনিধি৷ দিশা নির্দেশ করেন ভবিষ্যৎ বেতার প্রচারের, যার মোদ্দা কথা, সময়ের সঙ্গে তাল রেখে আনতে হবে পরিবর্তন৷

https://p.dw.com/p/MA6i
রেডিও এশিয়া’র অধিবেশনে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাসছবি: Anil Chatterjee

আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে পালটাতে হবে বেতার প্রচারের পুরো খোলনলচে৷ তা সে আঙ্গিক হোক, বিষয়সূচির বৈচিত্র্য হোক কিংবা প্রযুক্তি হোক৷ দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটাই বলে গেলেন নতুন দিল্লির ‘রেডিও এশিয়া ২০১০' অধিবেশনে৷ ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেন ডিজিটাল রেডিও থেকে ইন্টারনেট রেডিও, এফ এম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও-র৷ মূল্যায়ন করেন, বেতারের সামাজিক, বাণিজ্যিক তথা বেতার পরিচালন ব্যবস্থাপনার৷ তবে বক্তারা মোটামুটি একমত যে, বেতার প্রচারের ডিজিটালাইজেশন ছাড়া গত্যন্তর নেই৷ আর তার জন্য গড়ে তুলতে হবে অবকাঠামো – যেমন নতুন বাজার, ডিজিটাল রেডিও সেট , রিসিভার, ট্রান্সমিটার ইত্যাদি তৈরির জন্য জন্য রেডিও ইন্ডাস্ট্রি৷ যাতে শ্রোতারা চলতে ফিরতে শুনতে পাবে পছন্দমত একাধিক চ্যানেল৷

রেডিওকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে ডিজিটাল অনিবার্য কি না, জানতে চাইলে অল ইন্ডিয়া রেডিও-র উপ মহাপরিচালক বিজয় লক্ষ্মী ছাবরা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে কোন আধুনিক প্রযুক্তিই অনিবার্য৷ আজ না হয় কাল তা নিতেই হবে৷ একটা সময়ে এফ এম সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া রেডিওর আপত্তি ছিল৷ মনে হয়েছিল, সবার কাছে তা পৌঁছবে না৷ কিন্তু আজ আমাদের আছে ৬৫টি লোকাল এফ এম স্টেশন৷ তবে এফ এম বেসরকারিকরণের পর প্রতিযোগিতা বেড়েছে সন্দেহ নেই৷

প্রাইভেট এফ এম চ্যানেলে সংবাদ না থাকাটা একটা খামতি, কিংবা ডিজিটাল অপরিহার্য কিনা এসব বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন এফ এম-রেডিও-মিরচির চিফ প্রোগ্রামিং অফিসার তাপস সেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করে আসছি আমাদের প্রোগ্রামে সংবাদ রাখার, কিন্তু রাজনৈতিক ভ্রান্ত ধারণার দরুন অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এখন অবশ্য সরকার সেটা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন৷ আজ হোক বা কাল অনুমতি দিতেই হবে৷ পাবলিক ব্রডকাস্টার অল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে প্রথমে সংবাদ পেতে শুরু করলে পরে বেসরকারি সংবাদ এজেন্সির কাছ থেকেও সংবাদ নেবার স্বাধীনতা থাকবে৷ আর ডিজিটাল রেডিও হোক বা না হোক সনাতন রেডিও যথারীতি থাকবে৷''

বেতার প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালন ব্যবস্থাপনার ওপর আজকের এক প্যানেল আলোচনাসভায় ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাসের বক্তব্য ছিল, ‘‘মাথা ভারি পরিচালন ব্যবস্থা কাম্য নয়৷ ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার' কাজের পরিবেশ নষ্ট করে, যোগ্য লোক চলে যায়৷ কাজের মান ব্যাহত হয়৷ তরুণরা পরিবর্তন সহজে গ্রহণ করতে পারে, আধুনিক পদ্ধতি দ্রুত শিখে নিতে পারে৷ তাই তাদের মাথাপিছু উৎপাদনশীলতা অপেক্ষাকৃত বেশি৷ ব্যয়সঙ্কোচের দিনে কম লোকে বেশি কাজই বাঞ্ছনীয়'' বলেন ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক